আধিপত্য বিস্তারে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত বেড়ে ২

13 hours ago 9

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুজনে দাঁড়িয়েছে।

রোববার (০২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনের মৃত্যু হয়। নিহত ইয়াছিন নবীনগর পৌরসভার আলমনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গতকাল শনিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। নিহত শিপন বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের আব্দুল মোন্নাফ ওরফে মনেক মিয়া ডাকাতের ছেলে।

এ ঘটনায় নূর আলম ও প্রতিপক্ষের এমরান মাস্টার নামে আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নূরজাহানপুর গ্রামের শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাতের আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। পূর্ববিরোধের জেরে শনিবার রাতে গণিশাহ মাজার এলাকার একটি হোটেলে খাবার খাওয়ার সময় রিফাত, আরাফাতসহ কয়েকজন শিপনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে শিপন, হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন গতকাল ও আজ ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা আরও নিশ্চিত করেছেন, হোটেলের কর্মচারী ইয়াছিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেও আজ সন্ধ্যায় মারা গিয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনার পর মনেক মিয়ার অনুসারীরা প্রতিপক্ষ এমরান মাস্টারের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এতে এমরান মাস্টার গুলিবিদ্ধ হন এবং তাকেও ঢাকায় পাঠানো হয়। এসব ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক কালবেলাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির মালামালের ভাগাভাগি নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Read Entire Article