আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে বাকৃবিতে কৃষি প্রযুক্তি মেলা

2 hours ago 4

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এগ্রিকালচারাল মেশিনারি অ্যান্ড বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং শীর্ষক কৃষি প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে ওই মেলার উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, মেলায় ২৫ লাখ টাকার ড্রোন, ট্রাক্টর, নারিকেলের ছোবড়া ছাড়ানোর যন্ত্র, পাওয়ার উইডার, কম্পোস্ট সেপারেটর, মূল জাতীয় সবজি ধৌতকরণযন্ত্র, ফল শোধন যন্ত্র, নিউ হল্যান্ড ট্রাক্টর, মিনি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, সিডারসহ অসংখ্য আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি পরিদর্শনের জন্য আনা হয়েছে।

এবার মেলা উপলক্ষে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, এসিআই মোটরস লিমিটেড, বাংলামার্ক এগ্রো মেশিনারিজ, এসকিউ এগ্রিকালচার লিমিটেড, কৃষিবিদ ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্টল দিয়েছে।

আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে বাকৃবিতে কৃষি প্রযুক্তি মেলা

এ সময় ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা নারিকেলের ছোবড়া ছাড়ানোর যন্ত্র, পাওয়ার উইডার, কফি পাল্পার, কম্পোস্ট সেপারেটর, মূল জাতীয় সবজি ধৌতকরণ যন্ত্র, ফল শোধন যন্ত্রসহ একাধিক যন্ত্রপাতি মেলা উপলক্ষে নিয়ে এসেছি। এখানে শুধু যন্ত্রপাতি প্রদর্শনীর জন্য এনেছি, বিক্রয়ের জন্য নয়। তবে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা এ মডেলগুলো দিয়েছি, সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে ভোক্তারা এসব যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পারবে।

এসময় এসিআই মোটরস লিমিটেডের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, আমরা এখানে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ড্রোন নিয়ে এসেছি, পাওয়ার টিলার এনেছি, এছাড়াও বেশ কয়েকটি আধুনিক যন্ত্রপাতি এনেছি। কেউ যদি ক্রয় করতে চান, তাহলে আমাদের শোরুমে যোগাযোগ করতে পারেন। কয়েকটি যন্ত্র যেমন পাওয়ার টিলার শোরুম থেকে নগদ ক্রয় করলে ডিসকাউন্ট থাকবে এবং কিস্তিতে ক্রয় করার সুবিধা রয়েছে।

এসময় ময়মনসিংহের সুতিয়াখালীর কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এতো আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি একসঙ্গে দেখার সুযোগ আগে পাইনি। আমরা মাঠ পর্যায়ে এখনও অনেক কষ্ট করে চাষাবাদ করি। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে আমাদের খরচ কমবে, সময় বাঁচবে। যদি সরকার ভর্তুকির ব্যবস্থা করে, তাহলে অনেক কৃষক এসব যন্ত্র কিনতে পারবে।

আসিফ ইকবাল/আরএইচ/জিকেএস

Read Entire Article