আন্দোলনকালে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে নিয়ে নারী সমন্বয়কের স্ট্যাটাস

8 hours ago 10
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাদের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন এক ছাত্রী। একই সঙ্গে সমন্বয়ক থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রায় সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। তার এই অভিযোগের বিষয়ে খোলাসা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামছুন্নাহার হলের সমন্বয়ক সায়মা মাসুদ মম।  শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।  তিনি পোস্টে লেখেন, ভুক্তভোগীকে প্রত্যেকে আইনি পদক্ষেপসহ মেডিক্যাল রিলেটেড ব্যাপারেও হেল্প করতে চায় কিন্তু সে বিভিন্নভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে গড়িমসি করতে থাকে, কোনো ডাক্তারের কাছে যায় না, কোনো প্রেসক্রিপশন ও দেখাতে পারে না, মামলা করার জন্য স্টেপ নিলেও সে আগাতে চায় না গড়িমসি করে। মম আরও লেখেন, আজকে সে শিল্পকলা একাডেমিতে যেই বক্তব্য দিয়েছে সেটা স্পষ্টতই মিথ্যাচার। সমন্বয়কদের অনেকেই ওকে অনেকবার সহায়তার কথা বলেছে কিন্তু সে বিভিন্নভাবে গড়িমসি করে সহায়তার দিকে আগায় নি।  ধর্ষণের শিকার তরুণীর উদ্দেশ্যে এই সমন্বয় লেখেন, তুমি আমাকেসহ অনেককেই বলেছো যে, আমি তোমাকে পুরোটা সময় বোনের মতো সাপোর্ট দিয়েছি। তোমাকে আমি আহ্বান করছি, সামনে আসো, মুখোমুখি হও এবং বিনা কারণে মিথ্যাচার না করে সত্যটা সামনাসামনি পরিষ্কার করো সৎসাহস থাকলে। যেভাবে আজকে ওপেনলি একপাক্ষিক বক্তব্য দিয়ে সবার সামনে মিথ্যাচার করেছো, সেভাবে সামনাসামনি হয়ে বলো যে তোমাকে বৈষম্যবিরোধীর সকলে সাপোর্ট দিতে চেয়েছে কি না? তুমি গড়িমসি করেছো কি না?  সবশেষে তিনি লেখেন, আমি চাই এবার সকল রহস্যের জট খুলুক। ওই তরুণীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হলে থলের বেড়ালও বের হয়ে আসবে। সাহস এবং প্রমাণ থাকলে, এসে বলো যে আমার পোস্টে বলা কথাগুলো মিথ্যা!  এর আগে, শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সম্মুখ ভূমিকা নিয়ে ছবি ও তথ্যচিত্রের আর্কাইভ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে ওই তরুণী অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাদের ধর্ষণের শিকার হন। একই সঙ্গে সমন্বয়ক থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রায় সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাননি বলে দাবি করেন তিনি। ওই ছাত্রী বলেন, গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাষাঢ়া গোলচত্বর থেকে ছাত্রলীগের নেতারা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তারা ২০-২৫ জন ছিল। তারা আমাকে টেনেহিঁচড়ে মারতে মারতে তোলারাম কলেজের পাশে তাদের একটি অফিসে নিয়ে যায়। তারা আমার ফোন কেড়ে নেয়, অনেক বাজে কথা শোনায় এবং গালি দেয়।একপর্যায়ে সবাই অফিস থেকে চলে যায় শুধু দুজন থাকে। সে দুজন আমাকে ধর্ষণ করে।
Read Entire Article