‘আপু’ ডাকায় রোগীকে অভিভাবকসহ বের করে দিলেন চিকিৎসক

8 hours ago 3
শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসককে আপু ডাকায় রোগীকে অভিভাবকসহ কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজিয়া খাতুন জরুরি বিভাগের কক্ষ থেকে তাদের বের করে দেন। অভিযোগকারী রোগীর স্বজন কাজী মাসুম বলেন, দুপুর ২টার দিকে ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস মামিয়ার প্রচণ্ড পেট ব্যথা শুরু হয়। তাকে নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে আসি। এ সময় ডা. অনন্যা জরুরি কিছু ওষুধ লিখে দেন। হাসপাতালে ওষুধগুলো না পেয়ে বাইরে বিভিন্ন দোকানপাটে খুঁজি। একপর্যায়ে একটি ওষুধ না পেয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা পর আবারও জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করে দেখি, আগের ডা. অনন্যা ডিউটি শেষ করে চলে গেছেন। তখন কক্ষে ছিলেন ডা. মারজিয়া খাতুন।  তিনি আরও বলেন, এ সময় বিনয়ের সঙ্গে ডা. মারজিয়াকে আপু সম্বোধন করে বলি, আগের ডাক্তার যে ওষুধটি দিয়েছিলেন, ওষুধটি পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য কোনো ওষুধ দেওয়া যায় কিনা। এ কথা শুনেই ডা. মারজিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বলেন, ‘আপু বলছেন কেন? আমি মেডিকেল অফিসার। যান বের হয়ে যান।  রোগীর স্বজন কাজী মাসুম বলেন, আপু ডেকে কি দোষ করেছি? কিন্তু এতে আরও রাগান্বিত হয়ে কয়েক দফা আমাকে ধমক দিয়ে তার রুম থেকে বের করে দেন।  এদিকে হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, শুধুই এ ডা. মারজিয়াই নয়, হাসপাতালের যত ডাক্তার আছেন তাদের মধ্যে প্রায় সবাই  রোগী এবং তার অভিভাবকদের সঙ্গে এমন আচরণ করেন। ঘটনাটি জানার পর বেলা ৩টার দিকে কয়েকজন সংবাদকর্মী চিকিৎসক মারজিয়া খাতুনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারো সঙ্গে কোনো কথা বলব না।  হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাহেরাতুল আশরাফি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, হয়তো ভুলক্রমে তিনি এ কথা বলেছেন। তবে, আমাদেরকে অফিসিয়ালি অভিযোগ বা সরাসরি কথা বললে শনিবার আসতে হবে। শেরপুর জেলা সিভিল সার্জন মুহাম্মদ শাহীন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের কথা বা রুম থেকে কাউকে বের করে দেওয়া উচিত নয়। হাসপাতালে গ্রাম থেকে শহর সব পর্যায়ের লোকজন আসবে, তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের সুযোগ নেই। এ বিষয়টি নিয়ে আমি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে সঙ্গে কথা বলেছি।
Read Entire Article