আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ সেই আফিম চাষ করবে ইরান

4 hours ago 2
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর ২০২১ সালে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় তালেবান। এরপর তারা আফিম চাষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এবার সেই আফিম চাষের উদ্যোগ নিয়েছে ইরান। তবে সম্পূর্ণ চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্দেশ্যে এ চাষাবাদ হবে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে তালেবান পপি চাষ নিষিদ্ধ করার আগে মরফিন এবং অন্যান্য ওপিওয়েডের ইরানি নির্মাতাদের প্রধান উৎস ছিল আফগানিস্তান। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২১ সালে পপির নির্যাস ৭৫০ টন থেকে সরবরাহ কমে গত বছর প্রায় ২০০ টন হয়েছে। আফগানিস্তানে কঠোর অবস্থানে তালেবান সরকার। তারা পপির সরবরাহ নিষিদ্ধ করে রেখেছে। অদূর ভবিষ্যতে ইরানে এ ধরনের পণ্য সরবরাহের কোনো আশা নেই। ফলে বাধ্য হয়ে কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইরান ঔষধি কাঁচামালের জন্য বৈধ আফিম তৈরিতে পপি চাষের পরিকল্পনা করছে। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন সতর্ক করে দিয়েছে, চলমান সরবরাহ ঘাটতি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। তাই ইরান এখন তার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পপি চাষের জন্য কাজ করছে। এফডিএ মুখপাত্র মোহাম্মদ হাশেমি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, দীর্ঘমেয়াদি টেকসইতা নিশ্চিত করার জন্য আইনি চাষ অপরিহার্য। বৈধ চাষ বা নিয়ন্ত্রিত আমদানি ছাড়া ইরান মরফিন, কোডিন এবং পেথিডিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ উৎপাদন করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।  কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান পপি চাষ পুনঃপ্রবর্তনের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন।  সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার অধীনে আছি। তাই আমদানির অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রিত দেশীয় উৎপাদনের উপর নির্ভর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Read Entire Article