আবাসন সংকটেও ইংল্যান্ডে বাড়ছে খালি বাড়ির সংখ্যা

3 weeks ago 16

ইংল্যান্ডে খালি বাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় সাত লাখ ২০ হাজার খালি বাড়ি রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৬৫ হাজার ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ফাঁকা পড়ে আছে। যা সরকারিভাবে লং-টার্ম এম্পটি হোমস (দীর্ঘমেয়াদে খালি বাড়ি) হিসেবে চিহ্নিত। অথচ যুক্তরাজ্যে আবাসন সংকট, গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সামাজিক আবাসনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা—সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠছে এই বাড়িগুলো ব্যবহারের মধ্যে আনা হচ্ছে না কেন?

১৯৮০ সালে, দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের নিউ ক্রস গেটে একটি ভাঙাচোরা বাড়ি কেনেন করিনা পোর। বাড়ির ভেতরে ছিল মৃত প্রাণী, আবর্জনা, দুর্গন্ধ আর ভেতরের টয়লেট পর্যন্ত ছিল না। তবুও তিনি বাড়িটি কেনেন মাত্র ২৪ হাজার পাউন্ডে। লিউশাম কাউন্সিল থেকে তিনি সাড়ে তিন হাজার পাউন্ড অনুদান পান মেরামতের জন্য।

৪৫ বছর পর সেই বাড়ির বর্তমান মূল্য প্রায় ১০ লাখ পাউন্ড। করিনা বলেন, আজকের দিনে এমন কিছু করা সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

লিউশাম কাউন্সিল বর্তমানে খালি বাড়ি সংস্কারে ২০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত অনুদান দিয়ে থাকে। তবে গত পাঁচ বছরে মাত্র ২২টি বাড়ি এই অনুদান পেয়েছে, যদিও এলাকাটিতে ২ হাজার ২৫৩টি খালি বাড়ি আছে। এর মধ্যে ৭৭৫টি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ফাঁকা পড়ে আছে।

গোটা দেশে যেখানে অসংখ্য মানুষ গৃহহীন, সেখানে এত বিপুল সংখ্যক খালি বাড়ি থাকা কী এক ‘মিসড অপারচুনিটি? এই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই উঠছে।

২০১০-২০১৫ সালের কোয়ালিশন সরকার এম্পটি হোম প্রোগ্রাম ও নিউ হোমস প্রোগ্রামের মাধ্যমে কিছুটা অগ্রগতি সাধন করেছিল। তখন খালি বাড়ির সংখ্যা ২০ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৫.৯ লাখে, আর দীর্ঘমেয়াদে খালি থাকা বাড়ির সংখ্যা ৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২ লাখে।

কিন্তু ২০১৬ সালে এই কর্মসূচিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, এরপর আবার বাড়তে থাকে ফাঁকা বাড়ির সংখ্যা—২০২৪ সালে তা বেড়েছে ২২ শতাংশ, আর দীর্ঘমেয়াদে খালি বাড়ির সংখ্যা বেড়েছে ৩২ শতাংশ।

সূত্র: বিবিসি

এমএসএম

Read Entire Article