রাজধানীর গুলশানে একটি আবাসিক হোটেলে চাঁদাবাজি করার ঘটনায় সাত চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে গুলশান-২ এর একটি আবাসিক হোটেলে চাঁদাবাজি করার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো- রাকিব ওরফে আবু জায়ের (২০), মো. মনির হোসেন (১৯), ফরহাদ হোসেন শাওন (২৩), আসিফ শেখ (২০), আরিফুল ইসলাম ইমন (২৪), আহম্মেদ হোসেন (২৩) ও মো. সজিব হোসেন (১৯)।
গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন গুলশান-২ এর ‘রোজ উড রেসিডেন্স লি.’ নামীয় একটি আবাসিক হোটেলে এসে ‘বিলাস দাদা’র কথা উল্লেখ করে হোটেলের স্টাফদের নিকট চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করবে এমন হুমকি দেয় চাঁদাবাজরা। পরের দিন দুপুরে হোটেলের ম্যানেজার মো. ফরাদুজ্জামানের মোবাইল নাম্বারে একটি অজ্ঞাতনামা নম্বর থেকে কল করে বিলাস দাদা পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয়। একই দিন বিকেলে হামিদ নামের এক ব্যক্তি কল করে বিলাস দাদার লোক পরিচয় দিয়ে দাবিকৃত চাঁদার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চায়। এরই সূত্র ধরে ২৭ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় গ্রেপ্তার সাতজনসহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জন ওই হোটেলে প্রবেশ করে মাসিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। স্টাফরা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হোটেলে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ও হয়রানি করে। তখন ম্যানেজার ফরাদুজ্জামানের মাধ্যমে হোটেল মালিককে পাঁচ মিনিটের ভেতরে হোটেল এসে তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে বলে। না দিলে তারা হোটেল ভাঙচুরের হুমকি দেয়। হোটেল মালিক তাৎক্ষণিক বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ জানালে পুলিশ এসে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় সঙ্গে থাকা অন্যরা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের থেকে সুজুকি ব্র্যান্ডের দুটি ও টিভিএস ব্র্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হোটেল মালিক মেহেদী হাসান তুষার গুলশান থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।