জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাইদ হত্যা মামলার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সাক্ষ্যগ্রহণের আয়োজন করা হয়েছে। সাক্ষ্য দিতে পারেন শহীদ আবু সাইদের বাবা।
গতকাল বুধবার এই মামলার সূচনা বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর। সূচনা বক্তব্যে তুলে ধরেন আবু সাঈদ হত্যার প্রেক্ষাপট।
এর আগে, গত ৬ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন। সকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বেরোবির সাবেক ভিসিসহ বাকি ২৪ জন এখনো পলাতক রয়েছেন। তাদের পক্ষে সরকারি খরচে ইতোমধ্যেই চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। তাদের উপস্থিতিতেই আজ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করবে প্রসিকিউশন।
গত ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত চারজন আইনজীবী। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
গত ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে শরিফুলের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, আর ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান। শুনানিতে তিনজনেরই অব্যাহতি চাওয়া হয়।
এর আগে, গত ২৮ জুলাই প্রসিকিউশন ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে। ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও বিস্তারিত তুলে ধরেন। এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আদালতে আমলে নেওয়া হয় ৩০ জুন, এবং ২৪ জুন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।