আমদানি-রপ্তানির বিল অগ্রিম পরিশোধের সীমা বেড়ে দ্বিগুণ

1 hour ago 1

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি আনতে অগ্রিম বিল পরিশোধের সীমা দ্বিগুণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যবসায়ীরা আরও সহজে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারবেন বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে আমদানির ক্ষেত্রে গ্যারান্টি ছাড়া অগ্রিম অর্থ পরিশোধের সীমা ১০ হাজার মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার ডলার করা হয়েছে। একই সঙ্গে রপ্তানিকারকদের রিটেনশন কোটার হিসাব থেকে অগ্রিম অর্থ প্রদানের সীমা ২৫ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ১৪ আগস্ট ও ৩১ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য শর্ত আগের মতো বহাল থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী পণ্য বা সেবা সরবরাহে ব্যর্থ হলে অনুমোদিত ডিলাররা নিজেদের দায়িত্বে অগ্রিম অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়া আমদানিকারকের কোনো বকেয়া বিল অব এন্ট্রি বা কাস্টমস স্বীকৃত ইনভয়েস যেন নির্ধারিত সময়ের বেশি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কার্যকর আমদানি নীতি আদেশ যথাযথভাবে মানা এবং অগ্রিম অর্থ প্রদানের আগে আমদানিকারকের স্বাক্ষরযুক্ত অঙ্গীকারনামা সংগ্রহ বাধ্যতামূলক থাকবে।

ইআরকিউ হিসাব থেকে অগ্রিম অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত প্রযোজ্য। এ ক্ষেত্রে সরবরাহকারীর কাছ থেকে গ্যারান্টি না পাওয়া গেলে অনুমোদিত ডিলারদের নিজেদের দায়িত্বে অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার সময় অগ্রিম প্রদেয় অর্থ সমন্বয় করে মূল্য সংযোজনের শর্ত যাতে ভঙ্গ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এখানেও আমদানিকারকের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বৈদেশিক বাণিজ্যকে সহজ ও গতিশীল করতে এই সীমা বাড়ানো হয়েছে। এতে আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবেন এবং রপ্তানিকারকরা তাদের ব্যবসা আরও সম্প্রসারণে উৎসাহিত হবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে, অগ্রিম অর্থ প্রদানের এই নতুন সীমা বৃদ্ধির বিষয়টি দ্রুত গ্রাহকদের জানাতে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বৈদেশিক বাণিজ্যে যে চাপ তৈরি হয়েছিল, এ সিদ্ধান্ত তা লাঘব করবে এবং ব্যবসায়ী মহলেও স্বস্তি এনে দেবে।

Read Entire Article