শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে আটকে ২ উইকেটের জয় পেলেও গ্রুপপর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৪ রানের ছোট্ট লক্ষ্য পূরণ হয়নি। আর সুপার এইটের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১৬ রানের মামুলি টার্গেট ছোঁয়া সম্ভব হলোনা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হারের পর আজ মঙ্গলবার সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানদের কাছে ডিএল মেথডে ৮ রানে হারলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শুধু হারাই নয়, ১২.১ ওভারে ওই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে সেমিফাইনালেও খেলতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু খেলা শেষে অধিনায়ক শান্তর কথা শুনে মনে হলো, ইনিংসের প্রথম দিকে কয়েকটি উইকেট হারিয়েই সেমিতে খেলার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দল। ভাবছিল শুধু ম্যাচ জয়ের কথা, শেষ পর্যন্ত সে লক্ষ্যও পূরণ করতে পারেনি।
একই ম্যাচে দুটি না পাবার হতাশা। ভীষণ হতাশ ও ক্ষুব্ধ ভক্ত-সমর্থকরা। এক পক্ষের কথা, ফল যাই হোক না কেন, যেহেতু সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা ও সুযোগ ছিল। তাই শান্ত বাহিনীর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল ১২.১ ওভারে ম্যাচ জেতা। অপর পক্ষের কথা, তা না হলে অন্তত ম্যাচ জিতে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়া উচিত ছিল।
দেশবরেণ্য কোচ ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম মনে করেন, সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলেও অন্তত ম্যাচ জেতা উচিত ছিল শান্ত বাহিনীর। সাকিব আল হাসানের গুরু বোঝানোর চেষ্টা করেন, শেষ ম্যাচটা অন্ততপক্ষে জিতলে একটা বার্তা দেওয়া যেতো। যে আফগানিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, তাদের হারিয়ে অসিদের সেমিতে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইমেজটা তাতে বাড়তো।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে ফাহিম বলেন, ‘সেমিতে যেতে পারলে দারুণ ব্যাপার হতো। পুরো আসরে আমরা যেমনটাই খেলি না কেন, শেষ চারে পা রাখার দারুণ সুযোগ চলে এসেছিল। আর তা কাজে লাগিয়ে সেমিতে পা রাখতে পারলে একটা বড় ব্যাপার হয়ে যেতো। তা হয়নি। আক্ষেপ থেকেই গেল। তারপরও অন্তত ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল।’
‘ম্যাচ জিতলেও আমাদের ইমেজটা ঠিক থাকতো। তখন বলা যেতো, গ্রুপপর্বে আমরা ৩টা ম্যাচ জিতেছি। আর সুপার এইটে এসে ইনফর্ম আফগানদের হারিয়েছি। সুপার এইটে একটা ইমপ্যাক্ট রাখতে পেরেছি। আমরা আফগানদের হারানোয় অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল খেলেছে, সে কথাটা উঠতো সবার মুখে মুখে। আমাদের ইনফ্লুয়েন্সের কারণে আফগানরা নয়, অসিরা সেমিতে। সেটা প্রমাণ করার সুযোগ এসেছিল। এত কম রানের টার্গেট, আমরা তাড়া করে জিততে পারলাম না। সেটা আমাদের দৈন্যদশারই বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
কোচ ও বিশ্লেষক ফাহিমের অনুভব, বাংলাদেশ যে জায়গায় এসে যেভাবে হেরেছে, তাতে করে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের স্কিলে ঘাটতির চেয়ে মানসিক দুর্বলতাই ফুটে উঠেছে বেশি। তাই মুখে এমন কথা তার, ‘শুধু স্কিলের ব্যাপার না। আমরা যে দল হিসেবে মানসিকভাবেও কত দুর্বল, তা সবাই দেখলো। জানলো। এটা লজ্জার।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম