ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কোনোভাবেই রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে যদি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিশ্চিত হয়, তাহলে কূটনীতির মাধ্যমে কিছু ভূখণ্ড উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। জাপানি সংবাদমাধ্যম কিওডো নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বলেন জেলেনস্কি।
কিওডো নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ একটি জটিল পর্বে প্রবেশ করেছে ও বর্তমানে যে আন্তর্জাতিক সহায়তা আমরা পাচ্ছি, তা যথেষ্ট নয়। আমাদের এখন কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে। রাশিয়ার নতুন আগ্রাসন প্রতিরোধের মতো যথেষ্ট শক্তি লাভ করার পর মুক্তির বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। এজন্য ন্যাটোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু করার জন্য আবারও আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিগগিরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্পের দল ইউক্রেনের পাঁচ ধাপের বিজয় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনো আত্মসমর্পণ হবে না।
তবে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হয়ে ফিরে আসা এই আশঙ্কা বাড়িয়েছে যে, ওয়াশিংটন কিয়েভের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ, তিনি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার সমালোচনা করেছেন। তিনি উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সেই সঙ্গে কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্তমান ফ্রন্ট লাইনে যুদ্ধ বন্ধ করে রাখা হতে পারে ও ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ স্থগিত করা হতে পারে।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বড় একটি অংশ দখল করে নেয়। এর আগে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের আরেকটি বড় অঞ্চল ক্রিমিয়াও দখল করে নেয়।
সূত্র: কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট
এসএএইচ