আমার ব্যক্তিগত ঋণ, খালেদা জিয়ার স্মরণে মুশফিকুল ফজল

মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী তার ফেসবুক পেজে একটি আবেগময় স্মৃতিচারণ পোস্টে তুলে ধরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি তার ব্যক্তিগত ‘ঋণ’ ও কৃতজ্ঞতার কথা। মাত্র ২৬ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগদান থেকে শুরু করে আজ আন্তর্জাতিক কূটনীতির অঙ্গনে নিজের অবস্থান, প্রতিটি ধাপে খালেদা জিয়ার সান্নিধ্য, পরামর্শ ও আস্থার কথাই উঠে এসেছে তার বর্ণনায়। মুশফিকুল ফজল লেখেন, দেশের সর্বোচ্চ অফিসে যোগদানের সুযোগই তার জীবনের গতিপথ বদলে দেয়। খালেদা জিয়ার ‘মাতৃস্নেহ’ ও দৃঢ় নেতৃত্ব তাকে গড়ে তুলেছে বলেও দাবি করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফোরামে জাতিসংঘ থেকে হোয়াইট হাউস, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করার সময় খালেদা জিয়ার ভূমিকা তিনি বারবার তুলে ধরেছেন। ২০১৬ সালের এক স্মৃতির কথা উল্লেখ করে মুশফিকুল জানান, পরিবারসহ লন্ডনে নতুন বাড়িতে ওঠার পরপরই খালেদা জিয়া তাকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার ভাষায়, সেদিনই সিদ্ধান্ত নিই… এরপরের ঘটনাপ্রবাহ কারও অজানা নয়। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সেই সিদ্ধান্তই তাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ করে দেয় বলে জা

আমার ব্যক্তিগত ঋণ, খালেদা জিয়ার স্মরণে মুশফিকুল ফজল

মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী তার ফেসবুক পেজে একটি আবেগময় স্মৃতিচারণ পোস্টে তুলে ধরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি তার ব্যক্তিগত ‘ঋণ’ ও কৃতজ্ঞতার কথা।

মাত্র ২৬ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগদান থেকে শুরু করে আজ আন্তর্জাতিক কূটনীতির অঙ্গনে নিজের অবস্থান, প্রতিটি ধাপে খালেদা জিয়ার সান্নিধ্য, পরামর্শ ও আস্থার কথাই উঠে এসেছে তার বর্ণনায়।

মুশফিকুল ফজল লেখেন, দেশের সর্বোচ্চ অফিসে যোগদানের সুযোগই তার জীবনের গতিপথ বদলে দেয়। খালেদা জিয়ার ‘মাতৃস্নেহ’ ও দৃঢ় নেতৃত্ব তাকে গড়ে তুলেছে বলেও দাবি করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফোরামে জাতিসংঘ থেকে হোয়াইট হাউস, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করার সময় খালেদা জিয়ার ভূমিকা তিনি বারবার তুলে ধরেছেন।

২০১৬ সালের এক স্মৃতির কথা উল্লেখ করে মুশফিকুল জানান, পরিবারসহ লন্ডনে নতুন বাড়িতে ওঠার পরপরই খালেদা জিয়া তাকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার ভাষায়, সেদিনই সিদ্ধান্ত নিই… এরপরের ঘটনাপ্রবাহ কারও অজানা নয়। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সেই সিদ্ধান্তই তাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ করে দেয় বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
মায়ের অসুস্থতায় দেশে ফেরার ব্যাপারে যা বললেন তারেক রহমান

সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়ে হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপের কথাও তার পোস্টে উঠে এসেছে। তাকে তখনও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘সঠিক’ বলে মনে করিয়ে দেন খালেদা জিয়া।

রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার নিয়োগে খালেদা জিয়া সত্যিই আনন্দিত হয়েছিলেন, এই দাবি করে মুশফিকুল আক্ষেপও প্রকাশ করেন যে দেশ হিসেবে মেক্সিকো হওয়ায় খালেদা জিয়ার তৃপ্তি কিছুটা অপূর্ণ ছিল।

বর্তমানে দূরে থাকার কারণে খালেদা জিয়ার শারীরিক সংকটময় সময়টিতে পাশে যেতে না পারার বেদনার কথাও জানান তিনি। চিকিৎসাজনিত বিধিনিষেধের কারণেও তাৎক্ষণিকভাবে দেশে উড়ে যেতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেন।

পোস্টের শেষে তিনি মহান আল্লাহর কাছে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা জানান।

ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে যুক্ত একটি ছবিকে মুশফিকুল ফজল বলেছেন তার জীবনের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের’ স্মৃতি, যেখানে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া নিজে। সেই মুহূর্তটিকে তিনি এখনও জীবনের ‘আলো’ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

কেএইচ/এসএনআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow