আমিও মধ্যবিত্ত, আমিও চাপে আছি: চালের দাম নিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা

1 week ago 11

নিজেকে ‘মধ্যবিত্ত’ উল্লেখ করে বাজারে চালের চড়া দাম নিয়ে চাপে থাকার কথা জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

চালের চড়া দাম ভোক্তাকে চাপে রাখলেও সরকারি ব্যবস্থাপনাগুলো এটি সহনীয় করতে কাজ করছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমিও মধ্যবিত্ত, নিজেই বাজার করি। আমিও চাপে আছি।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে খাদ্য ভবনে আমন সংগ্রহ কার্যক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম চড়া। যে কারণে সরকারিভাবে চাল আমদানিতে মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হচ্ছে। এসব দেশকে চালের দাম কমাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চলের বন্যাসহ একাধিক বন্যায় চালের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় প্রথমে বলেছিল উৎপাদন কমবে ১০ লাখ টন, পরে জানিয়েছে এটি হয়তো ৬-৭ লাখ টনের মতো হবে। এজন্য আমরা দ্রুত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করি।

‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চাল আমদানির ওপর শূন্য শুল্ক আনা হয়। তবে আশার কথা হচ্ছে, উত্তরাঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলনের কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। উৎপাদন ভালো হলে আমরা হয়তো কিছুটা ভালো অবস্থানে থাকবো’- বলেন এ উপদেষ্টা।

কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কৃষক যেন ফেয়ার প্রাইস বা ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য আমরা ধানের সংগ্রহ মূল্য বাড়িয়েছি। আগামী রোববার থেকে উত্তরাঞ্চলে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হবে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আমন মৌসুমে ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান। এ বছর আমন মৌসুমে ৩৩ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করবে সরকার। এছাড়া ৪৬ টাকা কেজি দরে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে।

আরও পড়ুন

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, খাদ্য মজুতে আমরা খুব বেশি কমফোর্ট জোনে না থাকলেও মজুত বাড়াতে দ্রুত আমন ধান ও চাল কেনা শুরু করছি। একই সঙ্গে আমদানিও দ্রুত করা হবে। বর্তমানে সরকারের কাছে ১২ লাখ ৮৮ হাজার টন খাদ্যের মজুত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদুল হাসান জানান, সরকার সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিলেও এখন পর্যন্ত মাত্র সাড়ে নয় হাজার টনের এলসি খোলা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আমন মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে। বাজারে নতুন ধান আসতে শুরু করলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা এ মুহূর্তে চাল আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

এনএইচ/এমকেআর/জেআইএম

Read Entire Article