ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস নেতারা যেখানেই থাকুক না কেন, তিনি সেখানে হামলার সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। গত সপ্তাহে কাতারে হামলার পর আরব ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলো যখন করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসেছে তখন নেতানিয়াহু এই হুমকি দিলেন। খবর রয়টার্স
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলার চালানোর পর যে ধরনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক একই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর।
কাতারে হামলার পর আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা কাতারের পাশে দাঁড়াতে যখন সম্মেলনের আয়োজন করেছে, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও উড়ে যান ইসরায়েল। সেখানে গিয়ে তিনি তেল আবিবকে আরও শক্তভাবে সহযোগিতার কথা জানান। যদিও কাতারে ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলাপকালে রুবিও বলেন, গাজা যুদ্ধ একটি পন্থায় শেষ হতে পারে, যদি হামাস সব জিম্মদের মুক্তি দেয় এবং আত্মসমর্পণ করে। তিনি আরও বলেন, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া কূটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে এ যুদ্ধ শেষ হোক। কিন্তু তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না। এজন্য আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এ অবস্থায় দেশটিতে হামলা চালানোর আগে ওয়াশিংটনকে জানায়নি ইসরায়েল। এ বিষয়ে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তাদের (ইসরায়েল) আরও সতর্ক হতে হবে। তারা হামাসকে যা করার করুক, কিন্তু মনে রাখতে হবে কাতার আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
হামাস জানায়, ওই হামলায় তাদের পাঁচ সদস্যসহ মোট ছয়জন নিহত হয়। এতে তাদের নেতাদের হত্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। এ হামলার পর কাতারের আমি শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরব ও মুসলিম বিশ্বকে বাস্তবিক এবং প্রয়োগিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।