বুধবার রাত থেকেই বিভিন্ন দেশের হাজিদের মতো বাংলাদেশের হাজিরাও আরাফাতে আসতে শুরু করেন। আজ বুধবার সকালেও অনেক বাংলাদেশি হাজি আরাফার ময়দানে এসেছেন। এ বছর বিশ্বের ২০০ শতাধিক দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ হজযাত্রী হজ পালন করছেন। তাদের প্রত্যেকেই আরাফার ময়দানে এসে অবস্থান করবেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুসারে ৯ জিলহজ্জ সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পূর্বে কিছু সময় আরাফাতে অবস্থান করা হজযাত্রীদের জন্য ফরজ। এটি না করলে হজ পরিপূর্ণ হবে না।
বাংলাদেশি হাজিদের সঙ্গে আরাফার ময়দানে অবস্থান করছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্মসচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক।
আরাফার ময়দানে হাজিরা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। পাপমুক্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। মনের সব আকুতি-মিনতি মহান প্রভুর কাছে নিবেদন করেন। এখানে অবস্থান করা অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ।
সূর্যাস্ত যাওয়ার পর হাজিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফার ময়দান থেকে মুজদালিফা অভিমুখে রওয়ানা দেবেন। সেখানে এক আজান ও দুই ইকামতে হাজিরা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করবেন। হাজীদের জন্য মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব।
সৌদি সরকারের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ধূলিঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও সেরূপ কিছু ঘটেনি এবং তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে ছিল। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের হাজিরা সুন্দর ও সাবলীলভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন।
এমএএস/এমআইএইচএস/জেআইএম