আল-আকসা যেভাবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের মূল কারণ হয়ে উঠলো

2 hours ago 1

পুরোনো জেরুজালেমের হারাম আল-শরিফ কমপ্লেক্সে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ, যা মুসলিমদের জন্য তৃতীয় পবিত্রতম স্থান, আজও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের সবচেয়ে স্পর্শকাতর ইস্যু। সম্প্রতি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ব্যাপক দখলদারী, প্রতীকীভাবে আল-আকসার নিচে সুড়ঙ্গ খনন ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতান্যাহুর স্পষ্ট ঘোষণা যে ‘জেরুজালেম চিরকাল ইসরায়েলের থাকবে’- এসব ঘটনা আবারও আঞ্চলিক উত্তেজনাকে উত্তপ্ত করে তুলেছে।

এই প্রতিবেদনে আমরা অনুসন্ধান করব কীভাবে এই প্রাচীন মসজিদটি শুধু ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক ও জাতীয়তাবাদী সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এতে থাকছে ঐতিহাসিক পটভূমি থেকে শুরু করে ২০২৫ পর্যন্ত, আল-আকসা কীভাবে ‘সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থান’ হয়ে উঠেছে তার বিস্তারিত বিশ্লেষণ।

একেশ্বরবাদী ধর্মের কেন্দ্র

ইসলাম ধর্ম মতে, ৬২০ খ্রিস্টাব্দের এক রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মাদকে (সা.) মক্কা থেকে আল-আকসা ও সেখান থেকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ মুসলিমদের কাছে মুহাম্মদ (সা.) এর ইসরা ও মিরাজের স্থান হিসেবে এর গুরুত্ব অতুলনীয়।

এছাড়া ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআন থেকে জানা যায়, অনকে নবীও প্রার্থনার জন্য আল-আকসায় গেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন হযরত ইব্রাহিম (আ.), হযরত দাউদ (আ.), হযরত সুলায়মান (আ.), হযরত ইলিয়াস (আ.) ও ঈসা (আ.)। খ্রিষ্টান ধর্মে তারা যথাক্রমে আব্রাহাম, ডেভিড, সলোমন, হিলিয়াহু ও জিসাস বা যীশু নামে পরিচিত।

পূর্ব জেরুজালেমের পুরোনো শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছে এই আল-আকসা মসজিদ যা মুসলমানদের কাছে আল হারাম আল শরীফ বা মুসলমানদের পবিত্র স্থান (নোবেল স্যাঙ্কচুয়ারি) নামে পরিচিত।

পুরো প্রাঙ্গণে মুসলমানদের দুটি পবিত্র স্থান রয়েছে। সেগুলো হলো- সোনালী গম্বুজবিশিষ্ট ডোম অব দ্য রক ও ৭০৫ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ ৮ম শতাব্দীতে উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদের আমলে নির্মিত আল-আকসা মসজিদ, যা কিবলি মসজিদ নামেও পরিচিত।

প্রায় ১৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই স্থানটি ইহুদিদের কাছে আবার ‘হার হা বায়িত’ বা ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত। এই টেম্পল মাউন্ট ইহুদিদের কাছেও সবচেয়ে পবিত্র স্থান।

তারা বিশ্বাস করে যে, রাজা সলোমন তিন হাজার বছর আগে এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিলেন, যেটি ধ্বংস করে দিয়েছিল ব্যাবিলনীয়রা।

ওই জায়গায় নির্মিত দ্বিতীয় উপাসনালয়টিও ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা ধ্বংস করে দেয়। এখানে একটি খ্রিস্টান ব্যাসিলিকাও ছিল, যা একই সঙ্গে ধ্বংস হয়। বর্তমানে সেই উপাসনালয়ের শুধু পশ্চিম দিকের দেয়ালটিই এখনো টিকে আছে ও এটিই ইহুদিদের প্রার্থনার স্থান।

বর্তমানে আল-আকসা কে পরিচালনা করে?

ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৬৭ সালে তাদের আরব প্রতিবেশীদের যুদ্ধ বাধে। ওই যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েল মসজিদ প্রাঙ্গণটি দখল করে নেয়। সেই সঙ্গে পূর্ব জেরুজালেমের বাকি অংশ ও পশ্চিম তীরের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এসব এলাকা তখন মিশর ও জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং ইসরায়েলের এই দখল কখনোই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি।

বর্তমানে পূর্ব জেরুজালেম ইসরায়েলের দখলে থাকলেও আল-আকসা বা টেম্পল মাউন্ট এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে জর্ডান।

আল আকসার দুটি মুসলিম উপাসনালয়ের আনুষ্ঠানিক তত্ত্বাবধায়ক হলেন জর্ডানের বাদশাহ। স্থানটি তদারকি করছে জর্ডানের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীন সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সরকারের কেউ নেই।

অমুসলিমরাও আল-আকসা পরিদর্শন করতে পারেন, তবে শুধু মুসল্লিদেরই মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিতরে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের প্রধান র‍্যাবাই বা ইহুদিদের প্রধান ধর্মগুরু ইহুদিদের টেম্পল মাউন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ তারা মনে করেন এই স্থানটি এতোটাই পবিত্র যে এখানে পা ফেলা যায় না।

ইসরায়েলের সরকার খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের শুধুমাত্র পর্যটক হিসেবে ওই পবিত্র স্থানটি দেখার অনুমতি দেয়। দিনে চার ঘণ্টা করে সপ্তাহে পাঁচ দিন এই উপাসনালয় পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়।

ইহুদিরা টেম্পল মাউন্টের নীচে ওয়েস্টার্ন ওয়ালে বা ‘আল-বুরাক প্রাচীর’ বা ‘পশ্চিম প্রাচীরে’ প্রার্থনা করে, যাকে সলোমনের নির্মিত উপাসনালয়ের শেষ অবশিষ্টাংশ বলে মনে করা হয়। এই দ্বৈত পবিত্রতা স্থানটিকে অস্থির করে তুলেছে, কারণ মুসলিমরা এখানে একটি টেম্পল পুনর্নির্মাণের চিন্তাকেও ‘ধর্মঘটিত যুদ্ধ’ হিসেবে দেখে।

ঐতিহাসিক উত্থান : ১৯২৯ থেকে ১৯৬৭ যুদ্ধ

আল-আকসা সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার শুরু হয় ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ অনুশাসন চলাকালে। ১৯২৯ সালের জেরুজালেম দাঙ্গায়, পশ্চিম প্রাচীর নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আল-আকসায়। ফিলিস্তিনীয় আরবরা ভয় পায় যে, ইহুদিরা মসজিদটি দখল করবে। এই শঙ্কা থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই বছরের ২৪ আগস্ট হেবরন শহরে ৬৭ জন ইহুদি নিহত হন। এটি ছিল প্রথম বড় সংঘর্ষ, যা পরবর্তী সময়ে ১৯৩৬-৩৯ এর আরব বিদ্রোহে পরিণত হয়।

১৯৪৮ সালের ইসরায়েলি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর জেরুজালেম বিভক্ত হয়। আল-আকসাসহ পূর্ব জেরুজালেম জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। কিন্তু ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পুরো জেরুজালেম দখল করে। এরপর ১৯৬৯ সালের আগস্টে ডেনিস মাইকেল রোহান নামে এক অস্ট্রেলিয়ান আল-আকসা মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে দ্বাদশ শতাব্দীর মুসলিম শাসক সালাহউদ্দীনের মিম্বার ধ্বংস হয়ে যায়।

ওই ঘটনায় মুসলিম দেশগুলোতে নিন্দার ঝড় ওঠে ও একটি বড় আন্তর্জাতিক সংকট সৃষ্টি হয়, যার ফলে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) গঠন হয়। ‘ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণায়’ কাজ করার দাবি করা রোহান পরে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে প্রমাণিত হন। ১৯৮৮ সালে জর্ডান আল-আকসার অভিভাবকত্ব দাবি করে, যা আজও বহাল আছে।

২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত যত ঘটনা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে ২০০০ সালে। ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধান বিরোধী দলের নেতা আরিয়েল শ্যারন ডানপন্থি লিকুদ পার্টির আইন প্রণেতাদের একটি দলকে ওই স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তিনি তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, টেম্পল মাউন্ট আমাদের অধীনে রয়েছে ও এটি আমাদের হাতেই থাকবে। এটি ইহুদি ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান ও টেম্পল মাউন্টে যাওয়া প্রতিটি ইহুদির অধিকার।

তার সেই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে ফিলিস্তিনিরা। এরপর বড় ধরনের সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলে শুরু হয় দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার। সেই সহিংসতার ঘটনাপ্রবাহ ‘আল-আকসা ইন্তিফাদা’ নামেও পরিচিত।

ওই সংঘাতে তিন হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ও প্রায় এক হাজার ইসরায়েলি মারা যায়।

এরপর ২০২১ সালের মে মাসে, নিজেদের এলাকা থেকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ফিলিস্তিনিরা ও আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত হয়। এতে অন্তত ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৭ জন ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।

এর প্রতিক্রিয়ায়, ইসলামপন্থি দল হামাস গাজা উপত্যকা থেকে জেরুজালেমের দিকে রকেট নিক্ষেপ করে। তারপর ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের টানা ১১ দিন ধরে সংঘর্ষ চলে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইহুদি ছুটির দিন সিমচাত তোরাহ ও শেমিনি আতজেরেতের সময়, গাজা থেকে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি মিলিট্যান্ট গ্রুপ ইসরায়েলের ওপর একটি আকস্মিক সমন্বিত হামলা চালায়, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’।

সেদিন হামাস তেল-আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ৩ হাজার-৫ হাজারটি রকেট ছোড়ে। সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা গাজা সীমান্তের বেড়া ভেঙে কিবুতজ সম্প্রদায়ের একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে ও একটি সংগীতানুষ্ঠানে (নোভা ফেস্টিভ্যাল) হামলা করে। হামলায় নারী-শিশু ও বয়স্কসহ প্রায় ১২০০ জন নিহত হন, যার মধ্যে ছিলেন ৪৬ জন মার্কিন নাগরিক। সেই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়, যাদের মধ্যে অনেকেই এখনো হামাসের কাছে আটকে আছেন।

হামাসের এই হামলার লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও ইসরায়েল- সৌদি আরবে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা।

হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ার ৭ অক্টোবর রাত থেকেই হামাসশাসিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। শেষ খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৩৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই নারী-শিশু ও বয়স্ক লোক।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালেই ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভারের ছুটির মধ্যে পড়ে ইসলামের পবিত্র রমজান মাস। একদিন ইসরায়েলি পুলিশ পাসওভারকে সামনে রেখে ইহুদি দর্শনার্থীদের মসজিদ প্রাঙ্গণ ঘুরিয়ে দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই লক্ষ্যে ইসরায়েলি পুলিশ যখন মসজিদ প্রাঙ্গণটি পরিষ্কার করছিল ঠিক সেসময় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘাত বেধে যায়।

পুলিশের দাবি, বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম প্রাচীর লক্ষ্য করেও পাথর ছুড়েছে। এরপর এপ্রিল মাসে, পুলিশ আল-আকসা মসজিদে অভিযান চালায়। তাদের দাবি ‘বিক্ষোভকারীরা’ মসজিদের ভিতরে প্রাথর্নাকারীদের সঙ্গে নিয়ে স্থানটি অবরোধ করে রেখেছে।

ইহুদি চরমপন্থিরা তাদের পাসওভার দিবস উপলক্ষ্যে সেখানে একটি ছাগল জবাই করতে পারে, এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লিরা সেখানে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। খৃস্ট ধর্মের শুরুর দিকে ও রোমানরা ওই স্থানে ইহুদিদের টেম্পল ধ্বংস করে দেওয়ার আগে ইহুদিরা সেখানে ছাগল জবাই করতো।

ইসরায়েলি পুলিশ ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ বলে, তারা এমন কাজ করতে দেবে না। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন যে পুলিশকে অবশ্যই শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে। সব ধর্মের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে ও টেম্পল মাউন্টে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে।

তবে মসজিদ পরিচালনাকারী ইসলামিক ওয়াকফের দাবি ইসরায়েলি পুলিশ এই অভিযানের মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় উপাসনালয় বা মসজিদের পবিত্রতা ও সেখানকার নিয়মরীতিকে লঙ্ঘন করেছে।

সর্বশেষ ২০২৫ এর সেপ্টেম্বরে নেতানিয়াহু ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জেরুজালেমের ‘চিরস্থায়ী দখল’ ঘোষণা করেন। আল-আকসার নিচে প্রতীকী সুড়ঙ্গ খননের ঘটনাও ঘটেছে, যেটিকে ফিলিস্তিনিরা টেম্পল পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা বলে দেখছে। এর মধ্যেই ৯ সেপ্টেম্বর ইয়েমেন থেকে রকেট লঞ্চের পর জেরুজালেমে সাইরেন বাজে, যা আল-আকসার কাছাকাছি পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি স্ফুলিঙ্গ যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ ইউসুফ মুনায়্যের বলছেন, আল-আকসা শুধু একটি মসজিদ নয়, এটি ফিলিস্তিনীয় পরিচয়ের প্রতীক। যেকোনো ইহুদি প্রার্থনা বা সেটলার অভিযান এটিকে যুদ্ধের ফ্ল্যাশপয়েন্টে পরিণত করে।

জাতিসংঘের একটি রেজোলিউশনে (জুন ২০২৫) বলা হয়েছে, ‘আল-কুদসের (জেরুজালেম)’ সুরক্ষা ফিলিস্তিন ইস্যুর মূল। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে সেটলারদের ‘গণ অনুপ্রবেশ’ আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াবে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, এগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার অংশ’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ছাড়া এই স্থানটি সংঘর্ষের চক্র চালিয়ে যাবে।

সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি, এনপিআর, ডার্টমাউথ কলেজের ওয়েবসাইট, দ্য কনভারসেশন ডট কম, ব্রিটানিকা, আরব নিউজ, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিবেদন

এসএএইচ 

Read Entire Article