‘আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের আওতায় মোট বরাদ্দ ছিল ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সংশোধিত এডিপিতে তা প্রায় দ্বিগুণ করে ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, আলু সংরক্ষণে মডেল ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ডিএএম)। চাষিদের বসতবাড়ির উঁচু, খোলা ও আংশিক ছায়াযুক্ত স্থানে বাঁশ, কাঠ, টিন, ইটের গাঁথুনি ও আরসিসি পিলারে নির্মিত হবে এ ঘর। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্পও অনুমোদন করেছে সরকার।
‘আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রকল্প অনুযায়ী, দেশের সাতটি অঞ্চলের ১৭টি জেলার ৭৬টি উপজেলায় ৪৫০টি আলু সংরক্ষণ মডেল ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতেই এই বাড়তি বরাদ্দ।
আরও পড়ুন
জানুয়ারি ২০২২ থেকে জুন ২০২৬ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ৫০ কোটি টাকার কম হওয়ায় প্রকল্পটি তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নিজ ক্ষমতাবলে অনুমোদন দেন।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে এখন কৃষক পর্যায়ে কম-বেশি ৪০ জাতের আলুর চাষ হচ্ছে। বছরে আলুর উৎপাদন প্রায় ৯৭ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু সারাদেশে মোট উৎপাদনের বিপরীতে হিমাগারে সংরক্ষণ সুবিধার পরিমাণ ২৮ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিক টন।
উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য বহুমুখীকরণ না হওয়ায় উৎপাদিত আলুর একটি অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ক্রমবর্ধমান উৎপাদনের ধারা ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে অর্থকরী ফসল হিসেবে বসতবাড়িতে আলুর যথাযথ সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন
পাশাপাশি রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে আলু চাষের জন্য প্রসিদ্ধ জেলাসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পটি ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এমওএস/এমকেআর/জেআইএম