আলেপ্পোর দখল নেওয়া বিদ্রোহীদের ওপর হামলা রাশিয়ার

3 weeks ago 16

 

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সমর্থনে আবারও এগিয়ে এসেছে রাশিয়া। আলেপ্পোতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। সম্প্রতি সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শহরটি দখলে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামের যোদ্ধারা। এর পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ তোলে রাশিয়া ও ইরান।  

রোববার এক প্রতিবেদনে রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস নিউজ জানিয়েছে, আলেপ্পোসহ সিরিয়ার আরও কয়েকটি এলাকায় বিদ্রোহীদের আস্তানা, কমান্ড পোস্ট ও অস্ত্রাগার লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে অন্তত ৩০০ জন বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছে।

সিরিয়ায় কার্যক্রম চালানো একটি রুশ এজেন্সি বলছে, আলেপ্পো এবং ইদলিব প্রদেশে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। গত বুধবার থেকে এ হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও সিরিয়ান সেনাবাহিনীর সমর্থনে হামলা চালিয়েছে রুশ বিমান বাহিনী।  

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, হায়াত তাহরির আল শামের বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় রোববার ভোরে রাশিয়ার বিমান হামলার মুখে পড়ে। এতে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। 

এসওএইচআর বলেছে, ইদলিবের পাশাপাশি হামার গ্রামীণ এলাকাতেও রুশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার সরকারবিরোধী হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া বিদ্রোহীরা ওই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে।  

সিরীয় এই পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী বলেছে, দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সিরিয়ার সরকার। গত কয়েক বছরের মধ্যে সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। এই হামলায় তারা আলেপ্পোর পাশাপাশি অন্যান্য এলাকারও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। 

বিদ্রোহীরা আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরেই তাদের অবস্থানে হামলা শুরু করে রাশিয়া। রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করে আসছে। ২০১১ সালে আসাদবিরোধী বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর থেকেই সিরিয়া সরকারের পাশে দাঁড়ায় দেশদুটি। এমনকি আসাদ সেনাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করেন পুতিন। 

Read Entire Article