আলোচনার আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যমুনা অভিমুখে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

3 hours ago 3

সরকারের প্রতিশ্রুত ৭ দিনের মধ্যেও সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র কলেজ করতে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে আলোচনা করতে এবার ‘আমন্ত্রণপত্র’ নিয়ে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাচ্ছেন কলেজের ১১ শিক্ষার্থী।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তারা তিতুমীর কলেজ থেকে যমুনা অভিমুখে রওনা করেন।

কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকার তাদের নির্ধারিত ৭ দিনের কথা বলেও তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই শিক্ষার্থীরা আরও ৭ দিন সময় দিতে প্রস্তুত। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিটি কথা পালনের জন্য সময় এবং সহযোগিতা করতে শিক্ষার্থীরাও সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ‘স্বতন্ত্র তিতুমীর কলেজ’ বাস্তবায়নের জন্য দৃশ্যমান পদক্ষেপ আগামী ৭ দিনের মধ্যে দেখতে চায়। অন্যথায় ৭ দিনের কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। আমরা মনে করি, এ সরকার ছাত্র-জনতার সরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধানের বাইরে গিয়েও একজন শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক, একজন অভিভাবক। সে জায়গা থেকে মন্ত্রাণালয়ের দ্বিচারিতা, মিথ্যাচারের প্রতিবাদে এর যৌক্তিক সমাধানের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই সাত দিনের মধ্যে বসবেন বলেই মনে করছি।

পদযাত্রার বিষয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া অন্যায়ের কথা শুনবেন এবং রাষ্ট্র থেকে তাদের দেওয়া প্রতিটি কথা পালনের নির্দেশনা দেবেন। সেজন্য এর আগে যারা অনশন করেছেন তারা আমন্ত্রণপত্র নিয়ে পায়ে হেঁটে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে গিয়েছেন। তারা রাষ্ট্রের অবহেলিত এবং সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসার আমন্ত্রণ পৌঁছে দিয়ে আসবেন বলেও জানান তিনি।

সরকারি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা গত কয়েকমাস ধরেই স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলন করছেন। গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন, ডেথ অব এডুকেশন, ব্ল্যাক ফেস র‍্যালি, বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী, ক্লোজ ডাউন তিতুমীর এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। সবশেষ গত ২৯ জানুয়ারি একই দাবিতে ৫ জন আমরণ অনশনে বসেন। সেসময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

সেগুলো হলো-
১. ছাত্র-শিক্ষক-মন্ত্রণায়লের প্রতিনিধির সমন্বয়ে তিতুমীর কলেজের জন্য স্বতন্ত্র কাঠামো গঠন করা হবে।

২. ছাত্র-শিক্ষক-মন্ত্রণায়লের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে স্বতন্ত্রভাবে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেখানে ন্যূনতম দুটি বিষয় যথা আইন এবং সাংবাদিকতা সংযোজন করা হবে।

৩. সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে পাঠদানকারী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এমন শিক্ষক নিয়োগ করা। একই সঙ্গে সংকট নিরসনের জন্য অস্থায়ীভাবে আরও ১৫১ জন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।

৪. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার ও শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিক করতে টিঅ্যান্ডটির মাঠ, রাজউকের জমিসহ অনান্য সরকারি জমি তিতুমীর কলেজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।

৫. যাতায়াত ব্যবস্থার সংকট কাটাতে অন্তত ২০টি লাল বাস দেওয়া হবে।

৬. শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অতি দ্রুত আন্তজার্তিক মানের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি স্থাপন করা হবে।

এএএইচ/কেএসআর

Read Entire Article