৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য। লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের আরও একটি পরাজয় দেখার অপেক্ষায় সবাই। এই যখন অবস্থা, তখন গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে সবসময়ের আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান রীতিমতো রূপকথা লিখলো। অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং মিডল অর্ডার সালমান আলি আগার অবিশ্বাস্য এক জুটিতে সব হিসাবনিকাশ উল্টে গেলো।
দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৩৫৩ রানের বিশাল স্কোর আর টিকলো না রিজওয়ান ও সালমানের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের কাছে। দু‘জনের ২৬০ রানের বিশাল জুটির কাছে হার মানতে হলো প্রোটিয়াদের।
৩৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রিজওয়ান ও সালমানের জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ১ ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। সে সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে যায় স্বাগতিকরা। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান।
৩৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর দুই ওপেনার ফাখর জামান আর বাবর আজম মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন। ১৯ বলে ২৩ রান করে এ সময় আউট হয়ে যান বাবর আজম। এরপর মাঠে নেমে ফখর জামানের সঙ্গে জুটি বাধেন সউদ শাকিল। ১৬ বলে ১৫ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান।
দলীয় ৯১ রানের মাথায় ২৮ বলে ব্যক্তিগত ৪১ রান করে ফাখর জামান আউট হন। এ সময় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ার শঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু সবার ধারণা পাল্টে দিয়ে জুটি গড়ে দাঁড়িয়ে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান আলি আগা। ৯১ রান থেকে ৩৫১ রান পর্যন্ত ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান এ দু‘জন।
১০৩ বলে ১৩৪ রানের বিশাল ইনিংস খেলে আউট হন সালমান আলি আগা। ১৬টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। তার আগে ৮৭ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির মাইলফলক পূর্ণ করেন আলি আগা। ১২৮ বলে ১২২ রান করে অপরাজিত থেকে জয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ওয়ানডেতে রিজওয়ানের এটা চতুর্থ সেঞ্চুরি।
রিজওয়ান ও আলি আগার ২৬০ রানের জুটি পাকিস্তানের হয়ে রেকর্ড। পাকিস্তানের ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪র্থ উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ রান। এর আগে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ২০৬ রান তুলেছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ এবং শোয়েব মালিক।
এর আগে লাহোরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন টেম্বা বাভুমা এবং টনি ডি জর্জি। ৫১ রানের জুটি গড়েন তারা। ২২ রান করে আউট হন টনি ডি জর্জি। টেম্বা বাভুমা করেন ৮২ রান। ম্যাথ্যু ব্রিটজকে করেন ৮৩ রান এবং হেনরিক ক্লাসেন করেন ৮৭ রান। কাইল ভেরাইনি ৪৪ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫২ রান করে।
আইএইচএস/এমআইএইচএস