আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করবো

2 months ago 7

মহান আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে দেশকে অশান্তি, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে একটি সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা-১৫ আসনের সাধারণ জনগণের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শফিকুর রহমান বলেন, পতিত আওয়ামী ফ্যাসীবাদী শাসনে দেশকে একটি জ্বলন্ত অগ্নিগিরিতে পরিণত করা হয়েছিল। এমনকি নির্বাচনকালীন সময়ে আমাদের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের গুম, গ্রেফতার, নির্যাতনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ ঠেকানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, আগামীতে এমন সহিংস দমন-পীড়নের আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না, কারণ স্বৈরাচার পতিত হয়েছে। আগুন বেশি দিন চাপা দিয়ে রাখা যায় না, তাই লেলিহান শিখায় তারা পুড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী শাসনে বিরোধীদল ও আলেম-উলামাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুতে সরকার তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও চিকিৎসার অধিকারটুকুও দেয়নি, যা ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত উদাহরণ।

আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করবো

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে আমিরে জামায়াত বলেন, শহীদ আবু সাঈদ বুক পেতে দিয়ে বলেছিলেন— ‘বুকের ভেতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’ তার এই আত্মত্যাগ ফ্যাসীবাদী শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল এবং আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল।

তিনি বলেন, অতীতে দেশ ছিল অপরাধীদের অভয়ারণ্য— গুম, খুন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি আর দুঃশাসনে জর্জরিত। আল্লাহর রহমতে সেই অন্ধকার অধ্যায় শেষ হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যদি জনগণ আমাদের দায়িত্ব দেয়, আমরা ইনশা আল্লাহ একটি ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো।

সভায় তিনি সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে সব দেশ প্রেমিক মানুষকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন থানা আমির রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক প্রমুখ।

এএএম/এমআইএইচএস/এমএস

Read Entire Article