আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব, চটেছেন শিল্পীর ছেলে আনন্দ

2 months ago 8

আজ (১১ জুলাই) ভোরে হঠাৎ করে খ্যাতিমান ভারতীয় সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বর্ষীয়ান এ শিল্পীর মৃত্যুর খবরে ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে বাইরে সাড়া পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আশার অনুরাগীরা শোক প্রকাশ করছেন। কেউ বা আবার বিশ্বাসই করতে পারছেন না তার মৃত্যুর কথা!

আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজবের সূত্রপাত হয়েছে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। এতে লেখা হয়েছে করছে- ‘স্বনামধন্য গায়িকা আশা ভোঁসলের মৃত্যু হয়েছে’ এমন কথা। শুধু তাই নয়, ছবিতে মালা পরানো এবং সামনে ধূপও রয়েছে। এমন খবরে উৎকণ্ঠায় ঘনিষ্ঠদের সবাই আশার বাড়িতে খোঁজ নিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, ভীষণ বিরক্ত হয়ে জবাব দিতে নেমেছেন শিল্পী আশা ভোঁসলের পুত্র আনন্দ ভোঁসলে। মায়ের মৃত্যুর ভুয়া খবর ছড়ানোয় রেগে আগুন হয়েছেন তিনি।

আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব, চটেছেন শিল্পীর ছেলে আনন্দছেলে আনন্দ ভোঁসলের সঙ্গে আশা ভোঁসলে

শাবানা শেখ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হু হু করে সেই ভুয়া পোস্ট ভাইরাল হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পর পর আরও কয়েকটি পোস্টে ছড়িয়ে যায়। আর সেই জন্যই ফোনর পর ফোন পাচ্ছেন আশার ছেলে। এবার সেই প্রেক্ষিতে নিজেই মুখ খুললেন তিনি। ভীষণ চটে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একদম মিথ্যে খবর। পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট’।

সম্প্রতি রাহুল দেব বর্মনের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে আশা ভোঁসলেকে দেখা গেছে। এটি গত ২৭ জুনের ঘটনা। এদিন কিংবদন্তী শিল্পীর হারমোনিয়াম, ছবি এবং অসংখ্য পুরস্কার এবং পদকে সাজানো আসরে প্রয়াত স্বামীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে দেখা গেছে প্রবীণ এ সংগীতশিল্পীকে।

আশা ভোঁসলের মৃত্যুর গুজব, চটেছেন শিল্পীর ছেলে আনন্দআশা ভোঁসলে

প্রিয় পঞ্চমের স্মৃতিচারণা করে এদিন তিনি বলেন, ‘তার সুরে সুর মেলাতে আমার কখনো কোনো অসুবিধা হয়নি। রেকর্ডিংয়ের সময় আমি কোনোদিন সমস্যার মুখোমুখি হইনি। পঞ্চমের তৈরি করা গান খুব সহজেই গাইতাম আমি।’

মাত্র ১৬ বছর বয়সে গণপতরাও ভোঁসলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের তিন সন্তানও রয়েছে। তবে ১৯৬০ সালে সেই দাম্পত্যের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর আশা ১৯৮০ সালে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী আরডি বর্মনের সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৪ সালে পঞ্চমের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা সংসার করেছেন।

এমএমএফ/এএসএম

Read Entire Article