আশুলিয়া-সাভারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ১০

3 hours ago 7
সাভারের আশুলিয়ার দুর্গাপুরে সিলিন্ডার গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে ৫ বছরের কন্যা শিশুসহ এক দম্পতি দগ্ধ হয়েছে। খবর পেয়ে আশপাশের বাসিন্দারা আগুন নিভিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার দুর্গাপুর চালাবাজার এলাকার সোহাগ মন্ডলের মালিকানাধীন দ্বিতীয় তলা ভাড়া বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর (৪০), বিউটি বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে তানহা (০৫)। জাহাঙ্গীর ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লি. নামক একটি ওষুধ কারখানা ও তার স্ত্রী বিউটি পিকার্ড বাংলাদেশ লি. নামে একটি চামড়াজাত পণ্য কারখানায় চাকরি করেন। সকালে রান্নার উদ্দেশ্যে চুলা জ্বালাতে গেলেই এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করা হয়। প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান বলেন, সকালে রান্নার জন্য সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলেই এ ঘটনা ঘটে। ঘরের কিছু জিনিসও আগুনে পুড়েছে। গ্যাস লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। বিস্ফোরণে তাদের ঘরের জ্বানালাও বেঁকে গিয়েছে। ৩ জনই দগ্ধ তাদের মধ্যে শিশুটিই বেশি দগ্ধ হয়েছে আমরা দেখেছি। এছাড়াও সাভারের হেমায়েতপুরে সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুরের নালিয়াসুর এলাকার নবাব আলীর মালিকানাধীন একতলা বাড়ির একটি কক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন বাড়ির মালিক নওয়াব আলীর প্রথম স্ত্রী মোছা. আমেনা (৬০), তার মেয়ে মোছা. শিল্পী (৩৫), নাতি মো. জিসান (২০), মো. সজিব (৮), প্রতিবেশি মো. সোলায়মান (১৪), মোছা. হালিমা (৪২) এবং সুজাত মোল্লা (২৬)। প্রতিবেশী জহিরুল ইসলাম বলেন, বাড়ির মালিকের দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে তার বাসায় বেড়াতে আসে। সন্ধ্যার আগে তিনি মেয়েকে এগিয়ে দিতে ঘর তালাবদ্ধ করে বাইরে যান। এসময় বাড়িতে থাকা প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানরা কক্ষের ভেতর থেকে গ্যাসের গন্ধ পান। গ্যাস লিকেজ হয়েছে বুঝতে পেরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় হাতুড়ির আঘাতে দরজার লোহায় সৃষ্ট স্পার্ক থেকে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। এতে এক শিশু ও তিন নারীসহ সাতজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বান ইউনিটে ভর্তি করা হয়।  উল্লেখ্য,  গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্না ঘরে গ্যাস লিকেজে একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়েছিল, দগ্ধদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন আছেন অবস্থায় রয়েছেন। সম্প্রতি আশুলিয়ায় বারবার এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
Read Entire Article