আসন ফাঁকা রাখায় দুশ্চিন্তায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা

6 hours ago 5

একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৫ (সদর) আসন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল এ আসন। সংসদ সদস্য হিসেবে যার হাল ধরে রেখেছিলেন প্রয়াত বিএনপি নেতা শামসুদ্দিন আহমেদ। পরে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ আসনে নেই বিএনপির মুখ।

২৪এর অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এ আসনে গত এক বছরে নতুন করে মাঠ গুছিয়েছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণসহ নানান কর্মসূচি করে চলেছে দলটি।

এদিকে এরইমধ্যে সারাদেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে নওগাঁর ৬টি আসনের মধ্যে নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে কোনো প্রার্থীর নাম উল্লেখ করেনি দলটি।

অথচ এ আসনে বিএনপির ময়োনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু ও বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন।

সূত্র বলছে, এ আসনে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর কারণে ইমেজ সংকটে ভুগছে বৃহত্তর এ রাজনৈতিক দল। তাই সবদিক বিবেচনায় আপাতত কোনো প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়নি। সমঝোতার ভিত্তিতে সংকট কাটলে তবেই এ আসনে প্রার্থী দেবে বিএনপি। আর সেটি না হলে সম্ভাব্য শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে এ আসনে এনসিপির হয়ে লড়তে পারেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন।

তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নিজেদের দুর্গ ছেড়ে দিলে হুমকির মুখে পড়বে বিএনপির রাজনীতি। এতে ফায়দা লুটবে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল জামায়াত। জামায়াত ও এনসিপির কেউ একবার এই আসন নিজেদের দখলে নিলে ভবিষ্যতে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বিএনপি।

নওগাঁ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন জাগো নিউজকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে জেলার ৬টি আসনেই বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে বিএনপির। নওগাঁ-৫ আসনে শরিক দলের কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। সদর উপজেলা থেকেই নওগাঁর ১১টি উপজেলার রাজনীতি পরিচালনা করা হয়। এটি বিএনপির দুর্গ। তাই সবদিক বিবেচনা করে হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমরা আশাবাদী।

নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু জাগো নিউজকে বলেন, সদর আসনের ওপরই পুরো জেলার রাজনীতি নির্ভর করে। দৈনন্দিন প্রয়োজনে পুরো জেলার ভোটারদের সদর উপজেলায় যাতায়াত করতে হয়। তাই সবার নজর প্রথমেই নওগাঁ-৫ আসনে। এখানকার সমীকরণের ওপরই ধানের শীষের পুরো জেলার ভোট ব্যাংক নির্ভর করবে। অন্য দলের হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকা সত্ত্বেও এখানে ছাড় দিলে আমাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

নওগাঁ জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দীক নান্নু জাগো নিউজকে বলেন, দায়িত্বশীল পদে থেকে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু বলার সুযোগ নেই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই মেনে নিয়ে কাজ করা হবে। বিএনপির দুর্গ দল যদি শরিকদের ছেড়ে দেয়, আমাদের সেটিই মেনে নিতে হবে।

এফএ/এমএস

Read Entire Article