আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

4 hours ago 3

পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াতকে আয়াতুল কুরসি বলা হয়। এ আয়াতটিতে আল্লাহর একত্ববাদ, মর্যাদা ও গুণের বর্ণনা থাকায় এটির বিশেষ ফজিলত ও বরকত রয়েছে। উবাই ইবনে কা’ব থেকে বর্ণিত রয়েছে, রাসুল (সা.) এ আয়াতটিকে কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলেছেন। (সহিহ মুসলিম: ৮১০)

যে কোনো সময়ই আয়াতুল কুরসি পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। এ ছাড়া বিশেষ কিছু সময়ে আয়াতুল কুরসি পাঠ করার বিশেষ ফজিলত ও ফায়েদার কথাও বর্ণিত হয়েছে বিভিন্ন হাদিসে।

আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ

আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু লা তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম। লাহু মা ফিসসামাওয়াতি ওয়া মা ফিল আরদ্বি মান যাল্লাজি ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বিইযনিহ। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়া মা খালফাহুম ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়্যিম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শাআ ওয়াসিআ কুরসিইয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিয়্যুল আজিম।

আয়াতুল কুরসির বাংলা অর্থ

আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না ও নিদ্রাও নয়। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, সবকিছু তাঁরই। কে আছে এমন যে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করবে? তাঁদের সামনে কী আছে ও পিছনে কী আছে সবই তিনি জানেন এবং তিনি যা ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ব করতে পারে না। তাঁর কুরসি আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করেছে এবং সেগুলো সংরক্ষণ করতে তাঁর কষ্ট হয় না। এবং তিনিই সর্বোচ্চ ও মহান।

তিন সময়ে আয়াতুল কুরসি পাঠ করার ফজিলত 

১. প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করার ফজিলত

আবু উমামা (রা.) বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনও অন্তরায় থাকবে না। (সুনানে নাসাঈ: ৯৪৪৮)

২. রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করার ফজিলত

আবু হোরায়রা (সা.) থেকে বর্ণিত কেউ যদি রাতে শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করে, তাহলে সকাল পর্যন্ত আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তার জন্য একজন হেফাজতকারী থাকে এবং শয়তান তার কাছে যেতে পারে না। (সহিহ বুখারি: ৫০১০)

৩. সকালে ও সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পাঠ করার ফজিলত

উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্বিনের ক্ষতি থেকে হেফাজতে থাকবে এবং যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, সে সকাল পর্যন্ত জ্বিনের ক্ষতি থেকে হেফাজতে থাকবে। (মুসতাদরাকে হাকেম: ১/৭৪৯)

ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে ফরজ নামাজের পর ও সকাল-সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসি পাঠ করার সওয়াব ও ফায়েদা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

ওএফএফ

Read Entire Article