ইংরেজি শুনে চটেছেন সালমান

3 hours ago 2

বলিউড ভাইজান সালমান খানকে দেখতে বেশ শান্ত মনে হয়। কিন্তু রেগে গেলে তিনি মুহূর্তেই অগ্নিশর্মা হয়ে যান। মাঝে মাঝে তিনি একটুতেই রেগে যান। মনমেজাজ ভালো থাকলে সালমান সব সময়ে প্রিয়জনের পাশে থাকেন। তবে রেগে গেলে কাছের মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়! এবার সালমান খানের রাগের শিকার হলেন তার ভাইয়ের ছেলে আরহান খান। রেগে গিয়ে আরহানকে ভীষণ বকেছেন খান সাহেব।

আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে আরহানের সঙ্গে সালমানের পডকাস্ট। সেখানেই ভাতিজার সঙ্গে কথা বলতে বলতে রেগে যান ভাইজান। পডকাস্টে হিন্দির সঙ্গে ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলছিলেন আরহান ও তার বন্ধু। এমনটা দেখেই চটে যান ভাইজান। সালমানের আপত্তি, কেনো শুধু হিন্দিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথা বলে না আরহান!

সালমানের সঙ্গে পডকাস্টে আরহানের সঙ্গে ছিলেন তার আরও দুই বন্ধু আরুষ বর্মা ও দেব রাইয়ানি। এতে অতিথি হিসেবে ছিলেন সালমান। ভাতিজাকে তার বন্ধুদের সঙ্গে একটানা ইংরেজিতে কথা বলতে দেখে সালমান বলেন, ‘তোমাদের সবার আগে হিন্দিতে কথা বলা উচিত।’ এরপরেই আরহানের দুই বন্ধু বলে ওঠেন, তারা হিন্দিতে তেমন স্বতস্ফূর্ত নন। তখন মাথা ঠান্ডা করে সালমান জানান, তাদের হিন্দি শিখতে তিনি সাহায্য করবেন। কিন্তু তার সঙ্গে ভাইজান আরও বলেন, ‘হিন্দি জানো না বলে তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত। হিন্দিভাষী দর্শকদের জন্যই তো তোমরা কাজ করছ।’

কিছুদিন আগেই আরহানের পডকাস্টের প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসে। এ পডকাস্টে মনের কথা উজাড় করেছেন সালমান খান। এর মধ্যেই ভাতিজা আরহানকে জীবনের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সালমানের স্পষ্ট নির্দেশ, জীবনে যা হোক না কেনো, পরিবারই সবার আগে। ভাইজান বলেন, ‘সব সময় পরিবার ও বন্ধুদের পাশে থাকবে। এটা সারাজীবন তোমাকে করেই যেতে হবে।’

ভাইজান ৫৯ বছর বয়সে এসেও নিজেকে নিজেই বিভিন্ন পরামর্শ দেন। ভাতিজাকেও একটি পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, ‘আমি নিজেকে একটা পরামর্শ দিই। সেই পরামর্শই তোমাকে দেব। এই পরামর্শ শুনে হয়তো তুমি আমাকে ঘৃণা করবে। আমি নিজেকে এ পরামর্শ আরও রূঢ়ভাবে দিয়ে থাকি। জীবনে কাউকে একবার ক্ষমা করা যায়, দুবার ক্ষমা করা যায়। তিন বার হয়ে গেলে বুঝবে, সব শেষ।’

jagonews24

এদিকে ভাইজানের গরুর মাংস না খাওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তিনি ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছেন। তার বাবা সেলিম খান মুসলিম। মা সালমা খান হিন্দু (সালমা খানের আগের নাম ‘সুশীলা চরক’ বিয়েপর তার নাম ‘সালমা খান’ রাখা হয়েছে)। আর সৎমা হেলেন খ্রিস্টান। সে কারণেই সব ধর্মের প্রতি যে তার সমান শ্রদ্ধা, তা হওয়াই স্বাভাবিক।

এমনিতেই সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল খান পরিবার। তাদের বাড়িতে মিশ্র সংস্কৃতিতে বিয়ের চল রয়েছে। তাদের বাড়িতে যেমন গণেশ পূজা ঘটা করে হয়, তেমনই আয়োজন করা হয় ঈদের অনুষ্ঠান। বছর কয়েক আগে টেলিভিশন চ্যানেলের একটি শোয়ে সালমান খান জানান, তিনি গরুর মাংস কিংবা শুয়োরের মাংস ছুঁয়ে দেখেন না।

আর তিনি গোমাংস খান না তার মায়ের জন্য। সবাই জানেন সালমান তার মাকে কতটা ভালোবাসেন। সালমান তার মায়ের ভীষণ কাছের। অভিনেতা বলেন, গরুকে আমরাও ভীষণ মান্য করি। আমার মা যেহেতু হিন্দু, সে কারণেও। আমাদের পরিবার প্রকৃত অর্থেই ভারতীয়। এ কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভীষণ সমালোচনায় পড়েছেন সালমান খান।

এমএমএফ/জেআইএম

Read Entire Article