ইংরেজিতে সাবলীল কথা বলার ৭ বাধা ও সমাধান
আজকের পৃথিবীতে ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলা কেবল একটি ভাষা দক্ষতা নয়, এটি আত্মবিশ্বাস, ক্যারিয়ার আর নেতৃত্বের প্রতীক। তবে দেখা যায়—বছরের পর বছর ইংরেজি পড়াশোনা করেও অনেকেই সহজে কথা বলতে পারেন না। এর কারণটি কোনও অক্ষমতা নয়, বরং ভুল শেখার ভুল পদ্ধতি। আর এই গতানুগতিক ভুল পদ্ধতির কারণেই এতবড় গুরুত্বপূর্ণ স্কিল থেকে দূরে থাকছি।
সঠিক পদ্ধতিতে, অ্যাক্টিভিটিভিত্তিক LTDEZ ফাস্টেস্ট ফ্লুয়েন্সি পদ্ধতির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই হাজারো শিক্ষার্থী শূন্য থেকে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করেছেন। আমদের রিসার্স ও অভিজ্ঞতা বলে, যারা ইংরেজিতে শুধু মোটামুটি রিডিং জানে, তারাও ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্ট স্পিকার হতে পারবে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক, মূল ৭টি কারণ এবং কীভাবে তা কাটিয়ে ওঠা যায়—
১. ভয় ও সংকোচ: ভুল বললে অন্যরা হাসবে—এমন ভয়ই সবচেয়ে বড় বাধা।
সমাধান: আয়নার সামনে প্রতিদিন ৫ মিনিট নিজে নিজে ইংরেজিতে বলুন। ভুলকে শত্রু নয়, বরং শেখার শিক্ষক হিসেবে বিবেচনা করুন।
২. ইংরেজিতে না ভেবে মাতৃভাষায় ভাবা: বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করতে করতে মুখ থেমে যায়।
সমাধান: ছোট ছোট বাক্যে ইংরেজিতে ভাবুন— I’m going out, Let’s try again! প্রথমে বাংলা–ইংরেজি মিশ্র বললেও সমস্যা নেই। কথা বলা শুরু করতে হবে, এটাই আসল। আমরা শুধুশুধু কারেকশন নিয়ে পড়ে থাকি, সময় নষ্ট করছি; কিন্তু, শুদ্ধভাবে শিখবেন আপনি- যখন ইংরেজিতে কথা বলতে পারেবেন, -তখন।
৩. শুধু ব্যাকরণে মনোযোগ দেওয়া: অনেকেই মনে করেন, ব্যাকরণে পারদর্শিতা এলে ভাষায় দক্ষতা আসে। কিন্তু সত্যি হলো, ফ্লুয়েন্সি আসে স্পিকিং প্যাটার্ন থেকে। আমরা হয়তো প্রায় সবাই নিত্যবৃত্য অতীত কাল জানি না, তাও বাংলায় অনর্গল কথা বলি, কি অদ্ভুত- ইংরেজিতে কথা বলা শিখতে গেলে প্রথমেই শিখতে হবে গ্রামার, টেন্স!
সমাধান: গ্রামার-স্ট্রাকচার মুখস্থ নয়, প্রয়োগে শিখুন। নিজের প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০টি বাস্তব বাক্য বলার অভ্যাস করুন।
৪. নিয়মিত চর্চা না থাকা: ইংরেজি ফ্লুয়েন্সি জিমের মতো—চর্চা বন্ধ মানেই অগ্রগতি থেমে যায়। - কন্সিস্টেন্সি না রাখার কারণে অনেকে শুরু করে বা কথা বলা শিখেও আবার পারছে না। তাই, প্রতিদিন অন্তত ৩০-৬০ মিনিট ইংরেজিতে চিন্তা, বলা ও শোনার অভ্যাস করুন।
৫. ভুল উচ্চারণে আত্মবিশ্বাস হারানো: Pronunciation ভুল হলে অনেকে কথা বলা বন্ধ করে দেন।
সমাধান: BBC Learning English, ইংরেজি কার্টুন বা সিনেমা দেখে mimic করুন। অনুকরণই উন্নতির মূল চাবিকাঠি। কিছু এ্যাস্পিরেটেড ধ্বনি এবং আই পি এ সাউন্ড ও নেইটিভ কন্ট্রাকশ শিখলে সহজেই সমস্যার সমাধান পাবেন।
৬. সঠিক পরিবেশ বা পার্টনার না থাকা: পার্টনার না থাকলে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন।
সমাধান: নিজের ফোনে ভিডিও বা অডিও রেকর্ড করুন, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ প্র্যাকটিস করে ভয়-জড়তা কাটান।
৭. আমার দ্বারা সম্ভভ না- জ্ঞান করা: অনেকে ভাবেন, ইংরেজি শেখা মানে বছরের পর বছর লেগে থাকা—এটাই ভুল ধারণা।
সমাধান: ধারাবাহিক অনুশীলন ও সঠিক কৌশলে বেসিক স্তর থেকেও ৫০–১০০ ঘণ্টার focused practice-ই যথেষ্ট। একেবারে বেইসিকদের ক্ষেত্রেও ২০০-৩০০ ঘন্টায় সম্ভভ।
LTDEZ-এর ৩টি সহজ ফ্লুয়েন্সি ফরমুলা
ইংরেজিতে ভাবুন: অনুবাদ না করে সরাসরি ভাবুন।
দৈনিক বলুন: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০টি বাক্য বলুন।
ভুল থেকে শেখা: ভুল থেকেই আসে স্বাভাবিক ফ্লুয়েন্সি।
আর যারা দ্রুত প্রেজেন্টেশন, পাবলিক স্পিকিং, ডিবেট, আয়েল্টস ভাইভা বা আন্তর্জাতিক যোগাযোগে দক্ষ হতে চান, তাদের জন্য LTDEZ দিচ্ছে ১-১ পার্সোনালাইজড ফ্লুয়েন্সি কেয়ার। যেখানে পাবেন—মেন্টরিং এবং, বাস্তব পারফরম্যান্স ও আত্মবিশ্বাসের সুপার-গ্যারান্টেড রেজাল্ট।
ইংরেজি ফ্লুয়েন্সি কোনও প্রতিভা নয়; এটি অর্জিত দক্ষতা। আজই শুরু করুন, নিজের কণ্ঠে নিজের চমক দেখুন।
লেখক: শাহরিয়ার ইমন, ফাউন্ডার ও চিফ ইন্সট্রাক্টর, এলটিডিইজেড (LTDEZ)