ইংল্যান্ডের ৩৫১ তাড়া করে দুর্দান্ত জয় অস্ট্রেলিয়ার

6 hours ago 9

ওয়ানডের ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নও তারা। এই অস্ট্রেলিয়ার সামনে পাহাড়সমান রান দিয়েও স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই। যেটা দেখা গেলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আজকের ম্যাচেও। ইংল্যান্ডের ৩৫১ রানের পুঁজি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলো স্টিভেন স্মিথের দল।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৩৫২ রানের বড় সংগ্রহ অস্ট্রেলিয়া তাড়া করে ফেললো ১৫ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই।

অথচ বড় রান তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ২৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান দুই ব্যাটার ট্রাভিস হেড (৬) আর স্টিভেন স্মিথ (৫)। সেখান থেকে মার্নাস লাবুশেন আর ম্যাথিউ শর্টের দুর্দান্ত এক জুটিতে ঘরে দাঁড়ায় অসিরা। ৯১ বলে ৯৫ রান যোগ করেন তারা।

হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থাকা লাবুশেনকে (৪৭) ফিরিয়ে জুটিটি ভাঙেন আদিল রশিদ। তিন ওভারের মধ্যে আরেক সেট ব্যাটারকেও হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। লিভিংস্টোনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শর্ট। ৬৩ রান আসে শর্টের ব্যাট থেকে।

১৩৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে নিয়েছেন জস ইংলিশ আর অ্যালেক্স ক্যারে। পঞ্চম উইকেটে শতরানের জুটিতে ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা। ১১৬ বলে ১৪৬ রানের জুটিটি ভাঙে ক্যারে ফিরলে। ৬৩ বলে ৬৯ করেন তিনি।

বাকি পথটুকু অনায়াসে পাড়ি দিয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান জশ ইংলিশ আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৮৬ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কায় ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন ইংলিশ। ছক্কা মেরেই ম্যাচ শেষ করেন তিনি। ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ৩২ রানে।

এর আগে বেন ডাকেট বড় এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইংল্যান্ডকে উঠিয়ে দেন রানপাহাড়ে। বাঁহাতি এই ওপেনারের ১৬৫ রানের মারকুটে ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ৩৫১ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ইংলিশরা। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ওভালে নিউজিল্যান্ডের করা ৩৪৭ রানই ছিল সর্বোচ্চ।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। শুরুটা ভালোই ছিল তাদের। বাঁহাতি পেসার বেন ডোয়ারসুইস ১৩ রানে ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। ৬ বলে ১০ করে আউট হন ঝোড়ো শুরু করা ফিল সল্ট।

এরপর ১৩ বলে ১৫ রানে জেমি স্মিথকেও ফেরান ডোয়ারসুইস। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে জো রুট আর বেন ডাকেটের বিশাল জুটি। ১৫৫ বলে ১৫৮ রান যোগ করে দেন তারা।

ডাকেট ৯৫ বলে ঝোড়ো গতিতে সেঞ্চুরি তুলে নেন। যেটি ছিল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি।

অবশেষে রুটকে এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। ৭৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৬৮ রান আসে রুটের ব্যাট থেকে। এরপর হ্যারি ব্রুককেও (৩) তুলে নেন অসি লেগস্পিনার জাম্পা।

জস বাটলার ২১ বলে ২৩, লিয়াম লিভিংস্টোন ১৭ বলে ১৪ করে সাজঘরে ফেরেন। তবে ডাকেট তার মতোই খেলে যেতে থাকেন। ১৩৪ বলে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারসেরা ১৬৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে মার্নাস লাবুশেনের বলে বোল্ড হন ডাকেট। ১৪৩ রানের ইনিংসে ১৭টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার। শেষদিকে ১০ বলে অপরাজিত ২১ করেন জোফরা আর্চার।

অস্ট্রেলিয়ার বেন ডোয়ারসুইস ৩টি আর অ্যাডাম জাম্পা ও মার্নাস লাবুশেন নেন দুটি করে উইকেট।

এমএমআর/

Read Entire Article