বাংলাদেশে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদল চায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে আসুক বলে জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চোধুরী।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অফিসে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শেষে তিনি এই কথা জানান।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। দেশ যে গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে তাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সন্তুষ্ট। যত তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ গণতন্ত্রের দিকে যাবে সেই বিষয়ে আমাদের মধ্য আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এটার প্রেক্ষাপটে আমরা কি করতে যাচ্ছি এবং তারা কি করবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেষ কথা হলো বাংলাদেশে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের একটা গণতন্ত্র ফিরে আসুক তারা তা চায়। আমরা যারা বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকামী মানুষ সবাই চাচ্ছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। সবাই মিলে যত তাড়াতাড়ি এই কাজটা করতে পারি তা দেশের জন্য ও গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে কি আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা পেয়েছি সব সময়। তারা চায় যত দ্রুত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। আমরা গণতন্ত্র ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ের আরও সহযোগিতা বৃদ্ধি করার কথা বলেছি। তারা এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামীতে বাংলাদেশের জনগণ যে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করেছে এর মধ্য দিয়ে জনগণের যে আকাঙ্খা তা শিগগির বাস্তাবায়িত হবে।
পিআরের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেন, পিআরের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এছাড়া পিআরের বিষয়ে এখনই আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ যদি আপনি পিআরে রাজি হন তাহলে এই নির্বাচন পিআরে হবে না। সেটা হবে সংবিধান সংশোধনের পর। এখন আলোচনা হচ্ছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে।
এই বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ইইউ অনুধাবন করতে পেরেছে পিআর যদি কেউ চায় সেটা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে এসে সংসদে পাস করতে হবে। আমরা কিছু লোক চাইলে এটা সম্ভব না। জনগণ যদি চায় সেটা হবে। তবে সেটা আগামী নির্বাচনের পর পরবর্তীতে হবে।
বৈঠকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দীন অসীম ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস