রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে এবার অ্যান্টি-পারসোনেল ল্যান্ড মাইন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার এই পদক্ষেপ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাদের অগ্রসর হওয়ার গতি কমাতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাওয়া অন্যান্য অস্ত্রের সঙ্গে ব্যবহৃত হলে।
অ্যান্টি-পারসোনেল ল্যান্ড মাইন হলো এমন এক ধরনের মাইন, যা মানুষ বা সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে নকশা করা হয়। এটি মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়। কোনো ব্যক্তি এর কাছে পৌঁছালে মাইনটি বিস্ফোরিত হয়। এগুলো মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, এমনকি প্রাণহানিরও কারণ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে এসব মাইন কেবল তার নিজস্ব ভূখণ্ডে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে সেগুলো জনবসতি পূর্ণ এলাকায় ব্যবহারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথম এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন>>
- হামলার ভয়ে কিয়েভ দূতাবাস বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র
- কিয়েভে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী-নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ
- এবার কিয়েভে দূতাবাস বন্ধ করলো ইতালি
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও ক্রেমলিন এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ইউক্রেনকে অ্যান্টি-ট্যাংক মাইন সরবরাহ করেছিল। তবে অ্যান্টি-পারসোনেল মাইন যোগ করা হয়েছে রাশিয়ার স্থল সেনাদের অগ্রগতি ঠেকানোর উদ্দেশ্যে।
মার্কিন মাইনগুলো রাশিয়ার মাইনগুলোর থেকে আলাদা। কারণ এগুলো ‘অস্থায়ী’ এবং নির্ধারিত সময় পর অকার্যকর হয়ে যায়। এসব মাইন বিস্ফোরণ ঘটাতে একটি ব্যাটারির প্রয়োজন হয়। ব্যাটারি শেষ হলে মাইনগুলো আর বিস্ফোরিত হয় না।
এর আগে, গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটাকমস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। বাইডেনের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার পর যুদ্ধের এক হাজারতম দিনে এই হামলা চালানো হয়।
মস্কো দাবি করেছে, অ্যাটাকমস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলো সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলতে চায়।
বাইডেনের ওই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ বাড়িয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি ইউক্রেনকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর অনুমতি দেয়, তবে মস্কো এসব দেশকে সরাসরি যুদ্ধের অংশগ্রহণকারী হিসেবে গণ্য করবে।
কেএএ/