রাশিয়ার সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কায় সাময়িক বন্ধের পর আবারও কার্যক্রম শুরু করেছে কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাশিয়ার বড় ধরনের হামলার হুমকির পর দূতাবাসটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুনরায় চালু করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, দূতাবাস পুনরায় চালু হয়েছে। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকার এবং ইউক্রেন সরকারের আপডেট অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
বিমান হামলার সতর্কতা জারি হলে তাৎক্ষণিক নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে মার্কিন নাগরিকদের বলে উল্লেখ করেন তিনি ।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইতালি ও গ্রিস ইতোমধ্যে তাদের দূতাবাস সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ফরাসি দূতাবাস খোলা থাকলেও নাগরিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না আসলেও রুশ বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিশকিন সতর্ক করেছেন, ন্যাটো যদি ইউক্রেনকে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে, তাহলে মস্কো কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার আতঙ্ক সৃষ্টিকারী প্রচারণার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিমান হামলার সতর্কতা গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। মঙ্গলবার ইউক্রেন প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার একটি অস্ত্রাগারে হামলা চালায়।
রাশিয়া আগেই পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে, ইউক্রেনকে এমন অস্ত্র সহায়তা সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর সমতুল্য হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি কৌশলগত পারমাণবিক হামলার সীমা আরও কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যা অঞ্চলটিতে চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র করেছে।