রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আর এর জন্য ইউক্রেনের ড্রোন হামলাকে দায়ী করেছে মস্কো।
রাশিয়ার দাবি, শুধু পারমাণবিক স্থাপনাই নয়, একাধিক জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। তবে এই হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি কিয়েভ। তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বারবার উভয় পক্ষকে পারমাণবিক স্থাপনার প্রতি সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রেস সার্ভিস টেলিগ্রামে জানায়, হামলায় একটি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
এছাড়া, লেনিনগ্রাদ অঞ্চলের উস্ত-লুগা বন্দরের জ্বালানি টার্মিনালে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আঞ্চলিক গভর্নর জানান, প্রায় ১০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার দিনই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে ইউক্রেন। ১৯৯১ সালের ২৪ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে দেশটি।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি কিয়েভ পৌঁছান ও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জেলেনস্কির প্রধান সহকারী আন্দ্রেই ইয়ারমাক টেলিগ্রামে লিখেছেন, এমন বিশেষ দিনে বন্ধুদের সমর্থন পাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কানাডা সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে।
এছাড়া জেলেনস্কি যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসের পাঠানো শুভেচ্ছাপত্র প্রকাশ করেন। চিঠিতে চার্লস লেখেন, ইউক্রেনীয় জনগণের অটল মনোবলের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি আশা করি, মিত্র দেশগুলো ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির জন্য আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। জেলেনস্কি এটিকে ‘কঠিন সময়ে সত্যিকারের অনুপ্রেরণা’ বলে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডাউনিং স্ট্রিটে ইউক্রেনের পতাকা উড়বে। এছাড়া ব্রিটিশ সেনারা‘অপারেশন ইন্টারফ্লেক্স’ নামে ইউক্রেনীয় সেনাদের যে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন, তা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ইউরোপের দেশ নরওয়ে ঘোষণা দিয়েছে, তারা প্রায় ৭০০ কোটি ক্রোনার (প্রায় ৫১৪ মিলিয়ন পাউন্ড) মূল্যের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেবে ইউক্রেনকে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্তোরে বলেছেন, জার্মানির সঙ্গে মিলে দুটি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম ও রাডার সরবরাহ করা হবে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ