ইউটিউব না ইনস্টাগ্রাম, কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশি আয় সম্ভব?

আজকের ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়; এটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে। ক্রমবর্ধমান কনটেন্ট তৈরি এবং ভাইরাল ভিডিওর কারণে এই শিল্প এখন বহু বিলিয়ন ডলারের বাজারে রূপ নিয়েছে। তবে প্রশ্নটি অনেকের মনে জাগে, ইউটিউব না ইনস্টাগ্রাম, কোন প্ল্যাটফর্মে দ্রুত এবং বেশি আয় করা সম্ভব? এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। চলুন তাহলে দেখে নিই বিস্তারিত— ইউটিউব থেকে আয়ের নিয়ম ইউটিউব দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিয়েটরদের জন্য নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস হিসেবে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে এখানে আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিতে হলে চ্যানেলে অন্তত ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং গত ১২ মাসে ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। এই শর্ত পূরণ হলে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন থেকে আয় শুরু হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবে ১০,০০০ ভিউতে গড়ে ১-৫ ডলার (প্রায় ৮০-৪০০ টাকা) পাওয়া যায়। তবে ভিডিওর ধরন, দর্শকদের অবস্থান এবং বিজ্ঞাপনের প্রকৃতির ওপর আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে। সাধারণত প্রযুক্তি, শ

ইউটিউব না ইনস্টাগ্রাম, কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশি আয় সম্ভব?
আজকের ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়; এটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে। ক্রমবর্ধমান কনটেন্ট তৈরি এবং ভাইরাল ভিডিওর কারণে এই শিল্প এখন বহু বিলিয়ন ডলারের বাজারে রূপ নিয়েছে। তবে প্রশ্নটি অনেকের মনে জাগে, ইউটিউব না ইনস্টাগ্রাম, কোন প্ল্যাটফর্মে দ্রুত এবং বেশি আয় করা সম্ভব? এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। চলুন তাহলে দেখে নিই বিস্তারিত— ইউটিউব থেকে আয়ের নিয়ম ইউটিউব দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিয়েটরদের জন্য নির্ভরযোগ্য আয়ের উৎস হিসেবে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে এখানে আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিতে হলে চ্যানেলে অন্তত ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং গত ১২ মাসে ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে। এই শর্ত পূরণ হলে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন থেকে আয় শুরু হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবে ১০,০০০ ভিউতে গড়ে ১-৫ ডলার (প্রায় ৮০-৪০০ টাকা) পাওয়া যায়। তবে ভিডিওর ধরন, দর্শকদের অবস্থান এবং বিজ্ঞাপনের প্রকৃতির ওপর আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে। সাধারণত প্রযুক্তি, শিক্ষা ও অর্থনীতি বিষয়ক ভিডিওতে আয় তুলনামূলকভাবে বেশি। ইনস্টাগ্রামে আয়ের পথ ইনস্টাগ্রামে আয়ের পদ্ধতি কিছুটা আলাদা। সরাসরি ভিউ অনুযায়ী টাকা পাওয়া যায় না। এখানে আয়ের প্রধান উৎস হলো ব্র্যান্ড প্রোমোশন, স্পনসরড পোস্ট এবং রিলস বোনাস প্রোগ্রাম। তবে বোনাস প্রোগ্রাম সব দেশে উপলব্ধ নয়। ভারতে বেশিভাগ ইনফ্লুয়েন্সার স্পনসরড কন্টেন্ট এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করেন। জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থাকলে একটি স্পনসরড পোস্ট বা রিল থেকে হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন সম্ভব। অর্থাৎ সরাসরি ভিউ না হলেও ব্র্যান্ড ডিলের মাধ্যমে বড় আয়ের সুযোগ তৈরি হয়। দ্রুত আয়ের দিক দ্রুত আয়ের ক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রাম কিছুটা এগিয়ে। এখানে ইউটিউবের মতো কঠোর যোগ্যতার শর্ত নেই। একটি ভাইরাল রিল অল্প সময়েই ব্র্যান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। অন্যদিকে ইউটিউবে আয় শুরু করতে চ্যানেলের যোগ্যতা অর্জন করতে সময় লাগে। কোন প্ল্যাটফর্ম বেশি লাভজনক? ভিউভিত্তিক আয়ের জন্য  ইউটিউব বেশি লাভজনক। দীর্ঘমেয়াদে ব্র্যান্ড ডিল এবং দ্রুত জনপ্রিয়তার জন্য ইনস্টাগ্রাম বেশি সম্ভাবনাময়। সারসংক্ষেপে, ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রাম দুই প্ল্যাটফর্মই আলাদা সুবিধা দেয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কৌশল, সময় এবং লক্ষ্য অনুযায়ী আয়ের ধরণ ভিন্ন হতে পারে।  

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow