৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার পদে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা পদে (১২তম গ্রেড) ৬৫ জনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেতে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এ রিট আবেদনকারীদের ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা (১২তম গ্রেড) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পিএসসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (২৪ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার (অয়ন) ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।
৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার পদে আবেদনকারীদের কেন ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের সুপারিশের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রোববার ওই রুল নিষ্পত্তি করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ ২০২২ সালের ২ নভেম্বর নন ক্যাডার প্রার্থীদের মধ্য থেকে ওই পদগুলোতে নিয়োগের অনুরোধ জানানোর পরেও পিএসসি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০১৭ সালের ২০ জুন প্রকাশিত হয়। ওই বিসিএসে মোট ৮ হাজার ৩৭৭ পরীক্ষার্থী প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শূন্যপদে ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ৬ হাজার ১৩৭ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদের সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।
প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে বঞ্চিত এসব নন ক্যাডার প্রার্থীদের পিএসসি সরকারি বিভিন্ন দফতরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে চাহিদার ভিত্তিতে সুপারিশ করে থাকে। ভূমি মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট ৩৮তম বিসিএস নন ক্যাডার থেকে ‘ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা (১২তম গ্রেড)’-এর ১ হাজার ৩৭৫টি পদে সুপারিশের জন্য কর্ম কমিশনকে অনুরোধ জানায়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কিছু জটিলতার কারণে ওই নিয়োগ বিলম্বিত হয়।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ‘নন ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা ২০২৩, সংশোধিত ‘বিধিমালা ২০১৪’ এবং ‘বিধিমালা ২০১০’ অনুযায়ী ৩৮তম বিসিএস নন ক্যাডার সুপারিশের জন্য অপেক্ষমাণ প্রার্থীরা ওসব পদে নিয়োগ পেতে আইনগতভাবে উপযুক্ত।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে পিএসসি আবেদনকারীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। রায়ে আবেদনকারীরা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
এফএইচ/এমকেআর