ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ওই চায়ের দোকানে পরিষদের সদস্যরা এসব চেয়ার দেখতে পেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিষদের চেয়ার কিভাবে চায়ের দোকানে গেল তা জানে না বলে জানান চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন।
পরিষদের ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন রাশেদ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পরিষদের পাশে নাজিম সওদাগরের চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে পরিষদের ব্যবহার যোগ্য চেয়ারগুলো দেখতে পাই। পরে জিজ্ঞেস করলে দোকানের সওদাগর জানান, চেয়ারম্যান স্থানীয় মফিজের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকায় চেয়ারগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান আগেও রোহিঙ্গাদের ভোটার হতে বিভিন্ন সনদ দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইলিয়াছ মাহমুদ খোকন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা খোঁজ নিচ্ছি, কিভাবে পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে যেতে পারে! এটা নিয়ে আমরা পরিষদের ইউপি সদস্যা মোরশেদা বেগম, উম্মে সাদিয়া সুলতানা, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন রাশেদ, মোহাম্মদ ইসমাইল, মোহাম্মদ মোজাহের মিয়া, আবুল ফয়েজের উপস্থিতিতে একটা জরুরি বৈঠকে বসেছি।’
তবে হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এক দিনের জন্যও আমি পরিষদে যাইনি। কিন্তু পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে কীভাবে গেল এটা আমারও প্রশ্ন। ‘পরিষদের চেয়ার আমি কিনে দিয়েছি। বিক্রি করার তো প্রশ্নই আসে না। প্যানেল চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পারবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আকতার কালবেলাকে বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আমাকে কেউ বলেনি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’