ইউরোপকে চিন্তায় ফেলে দিলেন ট্রাম্প
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস ইউরোপকে নিজেদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় আরও সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তিনি বলছেন, ইউরোপের দেশগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, নিজেদের সেনাবাহিনী গঠন করা। এর মাধ্যমে ইউরোপের দেশগুলো নিজেদের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবে এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে। খবর রয়টার্সের।
এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোর দিকে ইঙ্গিত করেন। ট্রাম্প বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে একপেশে পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং ইউক্রেনের পরিস্থিতি থেকে যুক্তরাষ্ট্র দূরে সরে যাচ্ছে। ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে ঝুঁকছেন রাশিয়ার দিকে। ট্রাম্পের এই পরিবর্তিত পররাষ্ট্রনীতিতে ইউরোপীয় নেতারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, ট্রাম্প ‘রাশিয়ার বিভ্রান্তিকর তথ্যের ফাঁদে’ পড়েছেন। কিয়েভকে ছাড়া করা বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ার কথাও সুস্পষ্ট করে জানান দেন তিনি।
অন্যদিকে জেলেনস্কিকে ‘অনির্বাচিত স্বৈরশাসক’ বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প।
দুই নেতার এই দ্বন্দ্ব ইউরোপীয়দের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ইউরোপে যে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠতে উদ্যোগ নিতে হবে তাদের।
মিতসোতাকিস আরও বলেন, ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা একটি পুরনো দাবি। কিন্তু বর্তমানে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এখন ইউরোপের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অনেক আগে থেকেই ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠনের কথা বলেছেন, যাতে ইউরোপ নিজেদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে পারে।
মিতসোতাকিস ও অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারা মনে করেন, এখন সময় এসেছে ইউরোপের দেশগুলোর নিজেদের সামরিক সক্ষমতা শক্তিশালী করার, যাতে তারা পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সমান তালে নিরাপত্তা বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।