ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে

3 hours ago 9

ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রমজান মাস শ্রেষ্ঠ মাস। এ জন্যই শ্রেষ্ঠ যে, এ মাস আল্লাহর তা’য়ালার কাছে হিসাব গ্রহণের শ্রেষ্ঠ মাস। এ মাসের বরকতকে কাজে লাগিয়ে সকলকে আত্মগঠন ও তাক্বওয়া অর্জনে ব্রতী হতে হবে। তিনি মাহে রমজানের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ইব্রাহীমপুরে মনিপুর স্কুল মিলনায়তনে কাফরুল থানা দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

থানা আমীর অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবু নাহিদের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য লস্কর মুহাম্মদ তাসলিম, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল্লাহ, শাহ আলম তুহিন, জসিম উদ্দিন, নাজমুল হাসান খান প্রমূখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিশ্বনবী (সা.) পবিত্র মাহে রমজানের জন্য অপেক্ষায় থাকতেন। তিনি রজব মাসের প্রথম তারিখ হতেই মহান আল্লাহ তা’য়লার কাছে এভাবে দোয়া করতেন যে, ‘হে আল্লাহ তুমি আমাদের রজব ও শা’বান মাসের পূর্ণ বরকতা দান করো এবং মাহে রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করো। তিনি এজন্য এ মাস প্রাপ্তির আকাঙ্খা করতেন যে, এ মোবারক মাস আল্লাহর কাছে হিসাব গ্রহণের শ্রেষ্ঠ মাস। এ মাসেই বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী আল-কুরআন নাযিল হয়েছিলো বলেই এ মাসকে মহা সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। আর কুরআন নাযিলের জন্যই রমজান মাস মহিমান্বিত। এ মাসেই বদর যুদ্ধ ও মক্কা বিজয়সহ ইসলামের বড় বড় বিজয় এসেছিল। তাই অন্য মাসের তুলনায় এ মাসের মরতবা ও মর্যাদা সমধিক। তিনি পবিত্র মাহে রমযানে সিয়াম ও কিয়াস পালনের তাক্বওয়া ও তাজকিয়া অর্জন করতে সকলকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, রমজান মাসের মর্যদা সম্পর্কে পবিত্র কালামে হাকীমে বলা হয়েছে, রমজান মাস এমন একটি মাস যে মাসে আল-কুরআন নাযিল করা হয়েছে; যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। আর রমজান মাস এমন একটি মাস যে মাসে জাহান্নাহের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আর উন্মক্ত করা হয় জান্নাতের দরজাগুলো। হাদিসে কুদসীতে বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, রোজা আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. রেজাউল করিম বলেন, রমজান গোনা মাফের মাস; তাক্বওয়া অর্জনের মাস। এ মাসের শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে কাজে লাগিয়ে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করতে হবে। তিনি রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

এএএম/এমএসএম

Read Entire Article