ইন্টারনেটে ভ্যাট জনকল্যাণ নীতির পরিপন্থি

2 days ago 3

দেশে ইন্টারনেট সেবার ওপর নতুন করে ভ্যাট বৃদ্ধি ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণের নীতির পরিপন্থি পদক্ষেপ বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটির দাবি, পাকিস্তান ও উগান্ডা থেকেও ইন্টারনেটে বেশি ভ্যাট বাংলাদেশে। পাকিস্তান ও উগান্ডায় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট ৪১ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশে তা ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ।

রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা এসব দাবি করেন।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, গত ৯ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ১০ শতাংশ এসডি ও ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে মোবাইল সেবায় ১০০ টাকার রিচার্জে কর হিসেবে ৫৪ দশমিক ৬ টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কর দিতে হবে ৫৬ দশমিক ৩ টাকা।

তারা বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ ইন্টারনেট করের দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে আসবে। পাকিস্তান ও উগান্ডায় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট ৪১ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশে তা ৪২ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাবে।

সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের ৪৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে। অথচ উচ্চ কর আরোপ করে জনগণকে সেবার বাইরে রেখে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইন্টারনেট এখন একটি মৌলিক অধিকার এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটি অপরিহার্য। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিচার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পর্যন্ত ইন্টারনেটকেন্দ্রিক।

মানববন্ধনে অন্য বক্তারা বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ জনগণের ইন্টারনেট সেবার ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর পরিবর্তে তাদের সেবার বাইরে রাখার শামিল। ইন্টারনেটের কর কমিয়ে জনগণকে সেবার আওতায় আনলে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পারতো। এছাড়াও, কর কমালে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়তো। সরকার যদি জনগণের দাবিকে অগ্রাধিকার না দেয়, তবে এই সিদ্ধান্ত দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে পিছিয়ে দেবে। জনগণের জীবনযাত্রায় আরও বৈষম্য সৃষ্টি করবে।

আরএএস/কেএসআর/জিকেএস

Read Entire Article