ইন্দোনেশিয়ার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

3 months ago 10

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। এতে ১০০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার দিনগত রাত ২টা ৫২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ৬৮ কিলোমিটার গভীরে।

ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ এবং গভীরতা ৮৪ কিলোমিটার। তবে তারা নিশ্চিত করেছে, এই ভূমিকম্প থেকে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।

জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা-এর মুখপাত্র আবদুল মুহারি জানান, বেনগকুলু শহরে ভূমিকম্পে ১৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮টি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে এবং মেরামতযোগ্য নয়। এছাড়া অন্তত ৬টি সরকারি স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেন্ট্রাল বেনগকুলু জেলায় আরও দুটি বাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা এরিক চাতুর নুগ্রোহো (৩৬) বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমার বাড়ির জানালা প্রবলভাবে কাঁপছিল, সেটাই আমাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বের হয়ে যাই। বাইরে এসে দেখি, আশপাশের প্রতিবেশীরাও সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।

ইন্দোনেশিয়া একটি বিশাল দ্বীপপুঞ্জ রাষ্ট্র। যা প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার-এ অবস্থিত। এই অঞ্চলে টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে সুলাওয়েসিতে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে ১০০ জনের বেশি নিহত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।

২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামিতে দুই হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

২০০৪ সালে আচেহ প্রদেশে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম

Read Entire Article