ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সর্বোচ্চ পর্বত সেমেরু আগ্নেয়গিরি আবারও অগ্ন্যুৎপাত শুরু করেছে। দ্রুতগামী পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহ ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সংস্থা সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করেছে। বুধবার সংস্থাটি জানায়, সেমেরু আগ্নেয়গিরি প্রায় ৫.৬ কিলোমিটার (৩.৪৮ মাইল) উচ্চতা পর্যন্ত ঘন ছাইয়ের মেঘ আকাশে নিক্ষেপ করেছে। সম্ভাব্য বিপদের কারণে আগ্নেয়গিরির কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে ২.৫ কিলোমিটার (১.৫৫ মাইল) দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মুকদাস সোফিয়ান জানান, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা (০৯:০০ জিএমটি) থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। “পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহ এখনও দেখা যাচ্ছে, যা শিখর থেকে সাত কিলোমিটার (৪.৩ মাইল) দূর পর্যন্ত গড়িয়ে যাচ্ছে। রিপোর্ট প্রস্তুতের সময়ও আগ্নেয়গিরির কার্যক্রম চলমান ছিল,” তিনি জানান। জাভার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত ৩,৬৭৬ মিটার (১২,০৬০ ফুট) উচ্চতার মাউন্ট সেমেরু প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত। এই অঞ্চল ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের জন্য অত্যন্ত সক্রিয় হিসেবে পরিচিত। গত দুই শতকে সেমেরু বহুবার অগ্ন

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সর্বোচ্চ পর্বত সেমেরু আগ্নেয়গিরি আবারও অগ্ন্যুৎপাত শুরু করেছে। দ্রুতগামী পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহ ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সংস্থা সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করেছে।

বুধবার সংস্থাটি জানায়, সেমেরু আগ্নেয়গিরি প্রায় ৫.৬ কিলোমিটার (৩.৪৮ মাইল) উচ্চতা পর্যন্ত ঘন ছাইয়ের মেঘ আকাশে নিক্ষেপ করেছে। সম্ভাব্য বিপদের কারণে আগ্নেয়গিরির কেন্দ্র থেকে কমপক্ষে ২.৫ কিলোমিটার (১.৫৫ মাইল) দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মুকদাস সোফিয়ান জানান, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা (০৯:০০ জিএমটি) থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। “পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহ এখনও দেখা যাচ্ছে, যা শিখর থেকে সাত কিলোমিটার (৪.৩ মাইল) দূর পর্যন্ত গড়িয়ে যাচ্ছে। রিপোর্ট প্রস্তুতের সময়ও আগ্নেয়গিরির কার্যক্রম চলমান ছিল,” তিনি জানান।

জাভার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত ৩,৬৭৬ মিটার (১২,০৬০ ফুট) উচ্চতার মাউন্ট সেমেরু প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত। এই অঞ্চল ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের জন্য অত্যন্ত সক্রিয় হিসেবে পরিচিত।

গত দুই শতকে সেমেরু বহুবার অগ্ন্যুৎপাত করেছে। ২০২১ সালের ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে ৬২ জন নিহত এবং কয়েকটি গ্রাম উত্তপ্ত ছাইয়ে চাপা পড়ে যায়।

ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে—বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। জনবসতি, যোগাযোগব্যবস্থা এবং বিমান চলাচলে উচ্চ ঝুঁকির কারণে সেমেরুর কার্যক্রম ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

সূত্র- আলজাজিরা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow