ইবিতে জমকালো আয়োজনে ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিস্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষা ও গবেষণাকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো।
জানা যায়, দিবসটির শুরুতে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মো. নসরুল্লাহ। পরে সেখানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন তিনি।
এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। ৪৬তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটি-২০২৪ এর আহ্বায়ক ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মো. নসরুল্লাহ।
এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী ও আল কুরআন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এসএম সুইট, এস্টেট অফিস প্রধান আলাউদ্দিন ও অন্যরা।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চলনা করেন চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নকীব মো. নসরুল্লাহ বলেন, ‘আমি নিজেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য মনে করি না। মূলত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সেবক। যে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি এবং যার ফলশ্রুতিতে আমি আজকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পেয়েছি, সে সব শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করাই আমার আজকের অঙ্গীকার। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় সাধন করার পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমি কাজ করে যাব।’