ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

7 hours ago 7

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফুটবল মাঠে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ শিক্ষার্থীকে সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে। বুধবার (০৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ হাসান, আফসানা পারভীন তিনা ও রিয়াজ মোর্শেদ। দুই সেমিস্টার মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

এ ছাড়া সতর্ক বাতা পাঠানো হয়েছে অর্থনীতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাইফুল ইসলাম, মিল্টন মিয়া, মশিউর রহমান ও রাকিব হোসেন, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ দত্ত, মিনহাজুল আবেদীন, সাব্বির হোসেন ও সৌরভ হোসেন সজীব এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফরিদুল আলম পান্নাকে।

অফিস আদেশ সূত্রে, গত ১২ জুলাই অর্থনীতি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদকদের মধ্যে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার তদন্তে অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে গত ৩০ অক্টোবর ২৭১তম সিন্ডিকেট সভার প্রস্তাব অনুযায়ী তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযুক্ত নাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক রবিউলকে তলপেটে লাথি মারা, সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহর মোবাইল রিসেট দিয়ে তথ্য গায়েব করা এবং সেটি মেডিকেল সেন্টারে ফেলে রেখে আসা এবং তার বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বরাতে প্রক্টর বরাবর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার অভিযোগ রয়েছে। 

এ ছাড়া আফসানা পারভীন তিনার বিরুদ্ধে সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহর মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও উসকানিমূলক আচরণের মাধ্যমে ঘটনার মাত্রা তীব্র করার অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে রিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে তার বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বরাতে প্রক্টর বরাবর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা এবং ঘটনা ত্বরান্বিতকরণে ও ঘটনাসংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধে নাহিদকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া অফিস আদেশে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলা চলাকালে সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
 

Read Entire Article