ইরানের পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংসের একমাত্র অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের হাতে

2 months ago 6
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা এখন নতুন মাত্রা নিয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়েছে। চলমান এই সংঘাতের সব সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে একটি বোমা, যেটি আছে সামরিক শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট অস্ত্রের সম্ভাবনা যুদ্ধের সমীকরণকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে। কিন্তু কী সেই ‘গেম-চেঞ্জার’ বোমা? পারমাণবিক শক্তিতে বলিয়ান হয়ে ওঠা ইরান তার পারমাণবিক স্থাপনা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবকাঠামো মাটির গভীরে নির্মাণ করেছে, যা ঐতিহ্যবাহী বোমা দিয়ে ধ্বংস করা কঠিন। কিন্তু সেই স্থপনাও ধ্বংস হতে পারে, এমন বোমাও তৈরি আছে মার্কিনিদে কাছে। ৩০ হাজার পাউন্ড বা সাড়ে ১৩ হাজার কেজি ওজনের ‘জিবিইউ৫৭/এমওপি’ হিসেবে পরিচিত এই বোমাকে পারমাণবিক নয়, তবে বিশ্বের বৃহত্তম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই বিস্ফোরক শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই রয়েছে। যেটি তারা এখনো ইসরায়েলকে ব্যবহার করতে দেয়নি। এই বোমা বহন করতে সক্ষম, সেই বিমানও শুধু যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। বি২ স্পিরিট বোম্বার দিয়ে এই বোমা বহন ও নিক্ষেপ করা যায়। এটি একসঙ্গে দুটি বোমা নিয়ে উড়তে সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১০ থেকে ২০টি জিবিইউ৫৭/এমওপি বোমা রয়েছে। জিবিইউ৫৭ বোমায় দৈর্ঘে ছয় মিটার। ভূপৃষ্ঠের নিচে ৬০ মিটার বা ২০০ ফুট পর্যন্ত ভেদ করে আঘাত করতে পারে বোমাটি। এটি মূলত সুইয়ের মতো কাজ করে। ভূপৃষ্ঠে আঘাত করার পর একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে গিয়ে তারপর এটি বিস্ফোরিত হয়। বাঙ্কার ভেদ করে আঘাত করতে পারে বলে এটাকে ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’ও বলা হয়।
Read Entire Article