বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান অব্যাহত রেখে বিক্ষোভ করছেন দলের নেতাকর্মী ও তার অনুসারীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ১০টায় কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে তাদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
এর আগে বুধবার (২১ মে) দিন গড়িয়ে রাতভর সেখানে অবস্থান নিয়ে ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
এদিকে, ইশরাক সমর্থকদের অবস্থানের কারণে উচ্চ আদালতের সামনে থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে আশপাশের সড়কেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন
টানা অবস্থান কর্মসূচির কারণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় যাওয়ার রাস্তায়ও যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আবার বিএনপি সমর্থকরা যেন যমুনার সামনে যেতে না পারেন, এজন্য সর্তক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
ইশরাক সমর্থকেরা জানিয়েছেন, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৪ মে থেকে তারা লাগাতার আন্দোলন করছেন। এ আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা নগরভবন এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সেখানে নাগরিক সেবা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম সব বন্ধ রয়েছে।
এরমধ্যে বুধবার সকাল ১০টার দিকে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে উচ্চ আদালত তথা মৎস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে বেলা ১১টার দিকে সমর্থকদের আরেকটি অংশ কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়ক তথা যমুনায় যাওয়ার সড়কে অবস্থান নেন। এরপর তারা সারারাত কাকরাইলে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন। সকাল ১০টার দিকেও তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত থাকতে দেখা গেছে।
এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দাও, দিতে হবে’, ‘দফা এক দাবি এক, আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ’, ‘আসিফ ভূইয়ার কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না চলবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের একজন ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা এ কর্মসূচিতে অবস্থান নিয়েছেন। দাবি আদায় না হলে কেউ রাজপথ ছাড়বে না।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সরকারের সাবেক সচিব মশিউর রহমান বুধবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ২০২০ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইশরাক হোসেন বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন নির্বাচন কমিশন তার পরিবর্তে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এখন সেই নির্বাচন বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে শপথ নিতে দিচ্ছে না। এ কারণেই আমরা সড়কে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দাবি আদায়ের চেষ্টা করছি।
এমএমএ/এমকেআর/এমএস