নামাজের একটি ফরজ আমল কেরাত বা কুরআন তেলাওয়াত। কিছু নামাজের জামাতে ইমামের জন্য কুরআন উচ্চৈস্বরে পড়া ওয়াজিব, কিছু নামাজে নিম্নস্বরে পড়া ওয়াজিব।
ফজর, জুমা, মাগবির ও ইশার প্রথম দুই রাকাতে ইমামের জন্য উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়া ওয়াজিব। মুক্তাদি অর্থাৎ ইমামের পেছনে নামাজ আদায়কারীরা এ সব নামাজে চুপ থেকে ইমামের কেরাত শুনবেন। এ নামাজগুলোর কাজা যদি জামাতের সাথে পড়া হয়, তাহলে সেখানেও ইমামের জন্য উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়া ওয়াজিব।
সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মত অনুযায়ী মুনফারিদ বা একা নামাজ আদায়কারীর জন্য ফজর, মাগরিব ও ইশার প্রথম দুই রাকাতে উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়া সুন্নত। তবে নিম্নস্বরে কেরাত পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে। একইভাবে এ নামাজগুলোর কাজা একা আদায়ের ক্ষেত্রে উচ্চৈস্বরে ও নিম্নস্বরে দুভাবেই কেরাত পড়ার সুযোগ রয়েছে।
রাতের সুন্নত ও নফল নামাজ যেমন মাগরিব ও ইশার সুন্নত নামাজ বা তাহাজ্জুদের নামাজের কেরাতের নিয়মও একই। অর্থাৎ উচ্চস্বরে ও নিম্নস্বরে দুভাবেই পড়া যায়। তবে উচ্চৈস্বরে পড়া উত্তম। আর দিনের সুন্নত ও নফল নামাজ যেমন জোহর-আসরের সুন্নত, ইশরাক বা চাশত ইত্যাদি নামাজে নিম্নস্বরে কেরাত পড়া ওয়াজিব। ভুলে দিনের সুন্নত ও নফলে উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। আর ইচ্ছাকৃত পড়লে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে।
তাবিঈ হাকিম ইবন ই’কাল (রহ.) দিনের নামাজে উচ্চস্বরে কেরাত পড়া থেকে নিষেধ করতেন এবং বলতেন, রাতের নামাজে ইচ্ছে হলে উচ্চস্বরে পড়বে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ৩৬৭১) তাবেঈ হাসান বসরী (রহ.) বলেন, দিনের নামাজে নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে হয় আর রাতের নামাজে কেরাত পড়তে হয় নিজের কানকে শুনিয়ে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ৩৬৬৪)
ওএফএফ/এমএস