দোহার এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর নেতারা কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলাকে কাপুরুষোচিত ও বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে সমালোচনার বাইরে কোনো দেশই তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়নি।
সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ছিল উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি)-এর পক্ষ থেকে যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করার ঘোষণা। সম্মেলন উদ্বোধন করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, যিনি ইসরায়েলি হামলাকে স্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ ও কাপুরুষোচিত বলে আখ্যা দেন।
বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ে গঠিত জিসিসি এরই মধ্যে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে।
শেখ তামিম বলেন, আমার দেশের রাজধানীতে একটি বিশ্বাসঘাতক হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল হামাস নেতাদের পরিবার ও আলোচক দলের অবস্থানরত একটি বাসভবন। তারা সেখানে গাজা যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের সরকারের ওপর এক ধরনের ক্ষমতার উন্মাদনা, ঔদ্ধত্য এবং রক্তপিপাসু মানসিকতা ভর করেছে, যার ফলে এই বিপর্যয় ঘটছে এবং ঘটতেই আছে। এ অবস্থার মোকাবিলায় আমাদের বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইসরায়েলি হামলায় মধ্যস্থতাকারীদের ওপর আঘাত করা প্রমাণ করে যে, তারা প্রকৃতপক্ষে শান্তি চায় না এবং গাজা যুদ্ধ বন্ধে চলমান আলোচনা অকার্যকর করে দিতে চায়। এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬৪ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ মোহাম্মদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, জিসিসির প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে এরই মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং দোহায় শিগগির জিসিসির ইউনিফায়েড মিলিটারি কমান্ডের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই ব্যবস্থায় যেকোনো এক সদস্য রাষ্ট্রের ওপর হামলাকে পুরো জোটের ওপর হামলা হিসেবে গণ্য করা হবে।
সূত্র: ইসরায়েল
এমএসএম