গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও হামলা সম্পর্কে জার্মানি ‘অজ্ঞ ও উদাসীন’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। দায়িত্ব গ্রহণের পর মের্জের প্রথম তুরস্ক সফরে দুই ন্যাটো মিত্রের মধ্যে প্রকাশ্য মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আঙ্কারায় জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ-এর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মের্জকে উদেশ্য করে এই মন্তব্য করেছেন এরদোয়ান।
সংবাদ সম্মেলনে মের্জ বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকেই ইসরায়েলের পাশে রয়েছে জার্মানি। তিনি মনে করেন ইসরায়েল তার ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ প্রয়োগ করছে। হামাস যদি বন্দিদের ছেড়ে দিয়ে অস্ত্র ত্যাগ করত তবে অসংখ্য প্রাণহানি এড়ানো যেত।
এ বক্তব্যের সরাসরি বিরোধিতা করে এরদোয়ান বলেন, হামাসের কাছে কোনো বোমা বা পারমাণবিক অস্ত্র নেই, কিন্তু ইসরায়েলের কাছে সবই আছে। তারা সেগুলো ব্যবহার করে গাজায় হামলা চালাচ্ছে, এমনকি গতরাতেও তারা গাজায় হামলা চালিয়েছে।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘জার্মানি কি এগুলো দেখে না? জার্মানি কি গাজার ওপর এই হামলা ও অবরোধ লক্ষ্য করছে না? ইসরায়েল সবসময় গাজাকে ক্ষুধা ও গণহত্যার মাধ্যমে দমন করার চেষ্টা করছে।’
এরদোয়ানের তীক্ষ্ণ যুক্তিতে মের্জ ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের কিছুটা সমালোচনা করলেও ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার এড়িয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে ইসরায়েলবিরোধী সমালোচনা যেন ইহুদিবিদ্বেষে পরিণত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক ও জার্মানি একসঙ্গে কাজ করে গাজায় ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি তিনি প্রতিরক্ষা শিল্পে যৌথ প্রকল্প ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্কের যোগদানের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন।
মের্জও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে তিনি তুরস্কের সঙ্গে অর্থনৈতিক, পরিবহন ও অভিবাসন বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে চান।
কেএম

 6 hours ago
                        3
                        6 hours ago
                        3
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·