ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না কোনো স্কুল, প্রতিষ্ঠান, মসজিদ বা হাসপাতালও। তাদের হামলায় উত্তর গাজার সবশেষ হাসপাতালটিও বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে আজ সকালে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অভিযানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে আগুন ও ধ্বংস করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, হাসপাতালে থাকা ৬০ স্বাস্থ্যকর্মী ও ২৫ রোগীর অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীরাও রয়েছেন। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়াসহ কয়েক ডজন কর্মীকে আটক করেছে ইসরায়েল। তাদের একটি তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে গাজার উত্তরাঞ্জলেরর বেত লাহিয়ার এলাকার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালানোর কথা জানায় ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, হাসপাতালটিকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস। তারা এ ঘটনাকে ‘সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরায়েল। এসব দেশও গণহত্যার অংশীদার ।
উত্তর গাজার এ হাসপাতালে হামলার নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব ও জর্ডান। দেশ দুটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।