ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সীমিত করার প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঘোষিত এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইসরায়েলের মধ্যে থাকা অ্যাসোসিয়েশন চুক্তির কিছু বাণিজ্য-সম্পর্কিত ধারা স্থগিত করা হতে পারে।
তবে প্রস্তাবটি এখনো ২৭ সদস্য দেশের মধ্যে পর্যাপ্ত সমর্থন পায়নি। প্রস্তাবনায় ‘চরমপন্থি’ ইসরায়েলি মন্ত্রী, সহিংস বসতি স্থাপনকারীদের পাশাপাশি হামাস নেতাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছে। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচের নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন>>
- গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন, একঘরে হয়ে পড়ছে ইসরায়েল
- ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর গাজা সিটিতে বোমা ফেলছে ইসরায়েল
- গাজায় ৭০০ বছরের পুরোনো মসজিদ গুঁড়িয়ে দিলো ইসরায়েল
ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কাল্লাস সদস্য দেশগুলোকে কিছু ইসরায়েলি পণ্যে শুল্ক বাড়ানো এবং হামাসের ১০ নেতা, সহিংস ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও অতিদক্ষিণপন্থি দুই মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
কমিশন জানায়, ইসরায়েলকে দেওয়া দ্বিপাক্ষিক সহায়তা স্থগিত রাখা হবে, তবে বেসরকারি সমাজ ও হলোকাস্ট স্মারক কেন্দ্র ইয়াদ ভাসেমকে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান, মানবিক সহায়তার অবরোধ, সামরিক তৎপরতা বাড়ানো এবং পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপন পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সম্মান করার নীতির লঙ্ঘন। এ কারণে একতরফাভাবে চুক্তি স্থগিত করার অধিকার রাখে ইইউ।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, গাজায় প্রতিদিন যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে, তা থামাতে হবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দরকার, মানবিক সহায়তার পূর্ণ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।
গত মাসে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে বৈঠকে ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে করণীয় নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। স্পেন ও আয়ারল্যান্ড অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দাবি তুললেও জার্মানি ও হাঙ্গেরি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/