ইসলামী ব্যাংকের এমডিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্তে দুদক

চট্টগ্রামের চকবাজার ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েবের ঘটনায় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যাংকের গ্রাহক ভুক্তভোগী রোকেয়া আক্তার বারী। অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নিয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

সোমবার (৩ জুন) দিনগত রাতে রোকেয়া বারী অভিযোগটি দায়ের করেন। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে অভিযোগটি দুদকে পাঠায়।

• আরও পড়ুন
  লকারে ছিল ১৫০ ভরি সোনা, গায়েব ‘মিথ্যা’ দাবি ব্যাংক ম্যানেজারের
  ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে সোনা চুরির অভিযোগ

অভিযুক্তরা হলেন- ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মওলা, কোম্পানি সচিব জেকিউএম হাবিবুল্লাহ, চকবাজার শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এস এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী ও লকার ইনচার্জ মো. ইউনুস।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর জাগো নিউজকে বলেন, ‘লকার থেকে সোনা চুরির অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগী রোকেয়া বারী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি দুদকের শিডিউলভুক্ত হওয়ায় থানায় মামলা রেকর্ড হচ্ছে না। আমরা অভিযোগটি আজকে (মঙ্গলবার) সকালে অফিসিয়ালি দুদকে পাঠিয়েছি।’

এদিকে দুদক চট্টগ্রাম অফিসের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেছেন, ‘চকবাজার থানা থেকে ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অভিযোগটি ফাইলিং করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিকেলেই আমরা ঢাকা হেড অফিস বরাবর তদন্ত অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেবো। হেড অফিস থেকে অনুমোদিত হয়ে আসতে দু-তিন দিনের মতো সময় লাগে। এরপরই আমরা তদন্ত শুরু করবো।’

আরও পড়ুন

• বগুড়ায় আবারো ব্যাংকের ভল্ট লুটের চেষ্টা
• ব্যাংকের ভল্ট খুলতে না পেরে ম্যানেজারকে তুলে নিয়ে যায় কেএনএফ

লিখিত অভিযোগটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার একজন হিসাবধারী সেবাগ্রহীতা রোকেয়া বারী। ২০০৬ সাল থেকে তিনি ও তার মেয়ে নাসিয়া মারজুকা যৌথ মালিকানার ওই লকারটি ব্যবহার করছিলেন। ওই লকারে তার পরিবারের সদস্যদের আনুমানিক ১৬০ ভরি স্বর্ণাংলকার গচ্ছিত ছিল। ২৯ মে দুপুরে কিছু স্বর্ণালংকার আনার জন্য ওই ব্যাংকে গিয়ে দায়িত্বরত অফিসারের উপস্থিতিতে তিনি লকার খোলা অবস্থায় পান। পরে সেখানে গচ্ছিত ১৬০ ভরি স্বর্ণাংলকারের মধ্যে আনুমানিক ১৪৯ ভরি স্বর্ণাংলকার চুরি গিয়েছে বলে বুঝতে পারেন।

ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর অভিযোগ, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে স্বর্ণালংকার চুরিসহ বিশ্বাস ভঙ্গের এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

এএজেড/এমকেআর/জেআইএম